এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৩ লাখ। গত দুই যুগের মধ্যে কোনো বছরে এটি সর্বোচ্চ বলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনেক বেশি মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়ার সাথে পারিবারিক কোটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে গ্রিনকার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগমনে এই বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে পরিসংখ্যান দফতর উল্লেখ করেছে।
সরকারি সূত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০০১ সালের পর এবারই ১% জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে মোট জনসংখ্যা হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ। বৃদ্ধির এই ঘটনা সকল স্টেটে সমানভাবে ঘটেছে বলেও পরিসংখ্যান দফতরের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসনের প্রভাব পড়েছে ৮৪%। বলা হয়েছে, এ বছর ২৮ লক্ষাধিক বিদেশি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশকারীরাও আছেন। যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিপতিত অঞ্চলের মানুষকে মানবিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আসার অনুমতি প্রদানের ব্যাপারটিও রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে।
গত বছরের শেষ দিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ছিল ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহকারী প্রধান ক্রিস্টিন হ্যার্টলী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াসহ অন্যসব সেক্টরের তথ্য সন্নিবেশনের প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজ করার ফলে জনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী সহজসাধ্য হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের প্রভাব সম্পর্কেও সম্যক একটি ধারণা পাওয়া গেছে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আরও উদঘাটিত হয়েছে যে, ২০২২ সালে ১৭ লাখ এবং ২০২৩ সালে ২৩ লাখ অভিবাসী যোগ হয়েছে আমেরিকার জনসংখ্যায়। এমন তথ্য অনুযায়ী জন্মের হারের সাথে অভিবাসনের পার্থক্যও স্পষ্ট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে।
প্রসঙ্গত, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসীদের প্রভাব একেবারেই হ্রাসের অভিপ্রায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই অবৈধদের নিজ দেশে পাঠানোর অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ