দুর্বল অবস্থার কারণে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার (২২ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবিরকে এই ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলার ফলে ইরানের মিত্র ফিলিস্তিনি হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর শক্তি কমে গেছে। এছাড়া, ইরান-সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন দেশটির আঞ্চলিক প্রভাবকে দুর্বল করেছে।
সাক্ষাৎকারে সুলিভান বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে। এতে তেহরানের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানে এখন অনেকেই বলছেন যে, হয়তো এখনই আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা দরকার। হয়তো আমাদের পারমাণবিক নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
সুলিভান জানান, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে পারে এমন ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি ঝুঁকি, যার প্রতি আমরা এখন সতর্ক রয়েছি। আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।
সুলিভান বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করে তাহলে তেহরান আগের কঠোর অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। তবে ইরানের বর্তমান দুর্বল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করার সুযোগও রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, ট্রাম্প এবার হয়তো এমন একটি পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদন করতে পারবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সীমিত করবে।
ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭-২০২১ সময়কালে তেহরান ও বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে। ওই চুক্তি ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে সীমা আরোপ করেছিল এবং নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দিয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম