ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করেছে মার্কিন থাড (THAAD) মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইরান সমর্থনপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। এটি ছিল গত আট দিনে ইসরায়েলের ওপর হুতিদের পঞ্চম হামলা।
অক্টোবর মাসে ইসরায়েলে মোতায়েন করা থাড মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবার প্রথমবারের মতো সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হলো। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ইন্টারসেপ্টর মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয় এবং একজন মার্কিন সেনা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আঠারো বছর ধরে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলাম।’
থাড ব্যবস্থা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে টার্মিনাল ফেজে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটি সাধারণ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে আলাদা, কারণ এটি বিস্ফোরক ওয়ারহেডের পরিবর্তে গতিশক্তি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হুতিদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং হেজিয়াজ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়।
গাজায় যুদ্ধের জবাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আসছে ইয়েমেনি হুতিরা। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গত এক বছরে হুতিরা ইসরায়েলের দিকে ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৭০টি ড্রোন ছুঁড়েছে। যদিও বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করছে। তারা ১০০টির বেশি জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে, ফলে বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা বিকল্প পথ নিতে বাধ্য হচ্ছে।
চলমান এই সংঘাত ইসরায়েল এবং হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল