ইয়েমেনের রাজধানী সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। বৃহস্পতিবার এই হামলার সময় তিনি বিমানবন্দরের প্রস্থান লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন।
ড. তেদরোস জানান, বিমানবন্দরে চারটি বিস্ফোরণ ঘটে, যার একটি মাত্র কয়েক মিটার দূরে আঘাত হানে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে বাঁচব, এতটাই কাছে বিস্ফোরণ হয়েছিল। সামান্য ভুল হলে হয়তো সরাসরি আঘাত পেতাম।’ বিস্ফোরণের পরপরই আতঙ্কিত যাত্রীরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় দৌড়াতে থাকে।
হামলার সময় ড. তেদরোস ও তার সহকর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকা থাকেন। হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো চারদিকে পড়ে ছিল এবং ড্রোনের শব্দ তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে। তিনি বলেন, কোনও আশ্রয় ছিল না। আমরা শুধু বসে অপেক্ষা করছিলাম, যে কোনও কিছু হতে পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু হামলার পরে বলেন, হুতিদের বিরুদ্ধে আমার অভিযান কেবল শুরু হয়েছে। হামলায় বিমানবন্দরে তিনজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হন। হোদেইদা শহরেও আরও তিনজন প্রাণ হারান।
ড. তেদরোস জানান, তারা জানতেন এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ। তবে জাতিসংঘ কর্মী ও কূটনৈতিক মিশনের আটকে থাকা সদস্যদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তিনি এই ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বেসামরিক স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত থাকা উচিত, সেখানে আমি থাকি বা না থাকি।
তিনি আরও যোগ করেন, এটি আমাকে বোঝার সুযোগ দিয়েছে, যারা প্রতিদিন এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তারা কীভাবে অনুভব করে। ড. তেদরোস বিশ্বনেতাদের প্রতি শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের পৃথিবী খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল