যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিককে তলব করেছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে কোপেনহেগেনে তলব করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রিনল্যান্ডে গোপন তৎপরতা চালাচ্ছে মার্কিন নাগরিকরা। সূত্রের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে ডেনমার্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডিআর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা গ্রিনল্যান্ডে সামাজিকভাবে অনুপ্রবেশ করছে এবং ডেনমার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রমুখী হয়। যদিও কারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য দেয়নি গণমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন গোপন তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করেছে ড্যানিশ গোয়েন্দা সংস্থা।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী লার্স লককে রাসমুসেন বলেছেন, (ডেনমার্কের) এই রাজ্যের আভ্যন্তরীন কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই অভিযোগের আলোকেই মার্কিন ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’কে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লার্স লককে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া গেছে কি না তা উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার একাধিক বক্তব্যে বলেছেন- তিনি গ্রিনল্যান্ডকে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য হিসেবে ডেনমার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চান।
এদিকে কোপেনহেগেনের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে (গ্রিনল্যান্ডে) কম বিনিয়োগের অভিযোগ করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স।
কয়েক মাস আগে গ্রিনল্যান্ড সফরে ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মেট্টে ফ্রেডরিকসেন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, আপনারা কোনও দেশকে দখল করতে পারবেন না। এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কে বিদেশি শক্তির আগ্রহ নিয়ে তাদের সরকার বেশ সচেতন। সুতরাং ভবিষ্যতে রাজ্যে বহিরাগত শক্তির প্রভাবিত করার বিষয়ে আমাদের সচেতনতায় আবাক হওয়ার কিছু নয়।
ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ডেনমার্ক। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশের তালিকায় রয়েছে এই দেশটি। তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের মন্তব্য হতবাক করেছে ডেনমার্কের জনগণকে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ