পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে গত চার দিনে ভয়াবহ সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন সেনা সদস্য এবং ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’-এর ৪৫ জন 'সন্ত্রাসী'। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি পৃথক অভিযানে এসব সংঘর্ষ ঘটে। খবর জিও নিউজের।
বাজৌরে ভয়াবহ অভিযান
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাজৌরে পরিচালিত অভিযানে সেনারা সফলভাবে টার্গেট স্থল আক্রমণ করে। তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর নিহত হয় ২২ জন সন্ত্রাসী।
দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান সংঘর্ষ
অন্যদিকে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে পরিচালিত অভিযানে আরো ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। তবে এ সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ১২ জন সেনা সদস্য। আইএসপিআরের দাবি, এসব অভিযানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত অঞ্চলে সক্রিয় ছিল। এছাড়া প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় আফগান নাগরিকদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে।
লাল কিলা ময়দানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
১১ সেপ্টেম্বর, কেপি প্রদেশের লোয়ার দির জেলার লাল কিলা ময়দান এলাকায় সেনারা আরেকটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ভারত-সমর্থিত ১০ জন খাওয়ারিজ সন্ত্রাসী নিহত হয়। তবে সাতজন সেনা সদস্যও প্রাণ হারান।
নিহত সেনাদের পরিচয়
এই অভিযানে নিহত হওয়া সেনারা হলেন নায়েক আবদুল জলিল (উত্তর ওয়াজিরিস্তান), নায়েক গুল জান (লাক্কি মারওয়াত), ল্যান্স নায়েক আজমত উল্লাহ (লাক্কি মারওয়াত), সিপাহী আবদুল মালিক (খাইবার), সিপাহী মোহাম্মদ আমজাদ (মালাকান্দ), সিপাহী মোহাম্মদ দাউদ (সোয়াবি), সিপাহী ফজল কায়ুম (ডেরা ইসমাইল খান)।
সন্ত্রাসবাদের বাড়তি হুমকি
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা বেড়েই চলেছে, বিশেষত কেপি ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ইসলামাবাদভিত্তিক এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, শুধু গত মাসেই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে ১৯৪ জন।
সূত্র: শাফাক
বিডি প্রতিদিন/আশিক