মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মালিতে হামলায় ১০ শান্তিরক্ষী নিহত

মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ১০ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে এই সশস্ত্র হামলা হয়। রবিবারের এ হামলার ঘটনায় আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জাতিসংঘ মিশন ও জাতিসংঘ। নিহতরা চাদের সেনাবাহিনীর সদস্য বলে খবর গণমাধ্যমের। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলো। এসব গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিরোধের জন্য মালির উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ও ফ্রান্সের বাহিনীগুলো অবস্থান নিয়েছে। এক বিবৃতিতে মালির জাতিসংঘ শান্তি মিশন জানিয়েছে, রবিবার ভোরে আগুলোকের কাছে অনেকগুলো অস্ত্র সজ্জিত গাড়ি নিয়ে এসে হামলা চালায় আক্রমণকারীরা, এতে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। শান্তিরক্ষীরা হামলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও লড়াইয়ে ১০ শান্তিরক্ষী নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত মালির জঙ্গিগোষ্ঠী নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

 চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার প্রতিক্রিয়ায় হামলাটি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সরকার ও জনগণের উদ্যোগে জাতিসংঘ ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে এবং এসব কার্যক্রমে তাতে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ২০১৫ সালে মালির সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা সহিংতা থামাতে পারেনি। ওই অঞ্চলের উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই মালির রাজধানী বামাকো ও প্রতিবেশী দেশ বুরকিনা ফাসো ও আইভরি কোস্টে দুঃসাহসী হামলা চালিয়ে থাকে। ২০১২ সালে তুয়ারেগ গোষ্ঠীর বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছিল। এরপর তারা রাজধানী বামাকো দখলের ছক কষতে শুরু করে। কিন্তু ২০১৩ সালে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী মালিতে হস্তক্ষেপ করে তাদের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের দিকে হটিয়ে দেয়। প্রায় চার হাজার ফরাসি সৈন্য মালিতে অবস্থান নেওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সেখানে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে।

সর্বশেষ খবর