মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার প্রস্তাব, ভারতের নাকচ

কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার প্রস্তাব, ভারতের নাকচ

প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তারপর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেছেন, দুই পক্ষ যদি চায়, তা হলে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।

ভারত অবশ্য গুতেরেসের এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লির অভিমত আগেও যা ছিল, এখনো তাই আছে। ভবিষ্যতেও বদলাবে না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতার প্রশ্নই ওঠে না। পাকিস্তান বেআইনিভাবে ও জোর করে কাশ্মীরের একটা অংশ দখল করে আছে। ফয়সালা তো সেই ব্যাপারে হওয়া দরকার। এর বাইরে কাশ্মীর নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তা দুই দেশ আলোচনা করে মিটিয়ে নেবে। তার জন্য তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।’

রবিবার চার দিনের সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সে দেশে পা রেখেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন তিনি। তার পর সংবাদ সম্মেলন করার সময়ই কাশ্মীর এবং বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গুতেরেস বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে চলা সংঘাত নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমি। শুরু থেকেই এ ব্যাপারে সাহায্য করতে  চেয়েছিলাম। দুই দেশ রাজি থাকলে এ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত আমি। অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিকবার কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রতিবারই ভারত তা নাকোচ করে দিয়েছে। তবে এবার জাতিসংঘের মহাসচিব মধ্যস্থতার ইচ্ছে প্রকাশ করায় বিষয়টির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল। ভারতের ওপরেও চাপ তৈরি হলো। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান কারও অজানা নয়, তা সত্ত্বেও বারবার কেন এই মধ্যস্থতার কথা বলা হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ডয়চে  ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘এর কারণ হলো, পাকিস্তান বারবার বিষয়টি জাতিসংঘের বৈঠকে তোলার চেষ্টা করছে। তাদের বন্ধু দেশগুলোরও সাহায্য আদায় করছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। ভারতের বরাবরের অবস্থান হলো, জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ নিয়ে মধ্যস্থতার প্রশ্নই নেই। পাকিস্তান যে কাশ্মীরের কয়েক হাজার কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে সেটা তাদের খালি করতে হবে। আর পাকিস্তান চাইলেও মধ্যস্থতা হবে না। কারণ, ভারত রাজি হবে না। ফলে ওদের প্রচেষ্টা নিষ্ফলই থেকে যাবে।’

সর্বশেষ খবর