সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

২৩ মার্চ ‘পাকিস্তান দিবস’ পালন ভণ্ডামির জ্বলন্ত উদাহরণ পাকিস্তানের

প্রতিদিন ডেস্ক

এবারও ২৩ মার্চ ‘পাকিস্তান দিবস’ পালনের পরিকল্পনা আরও একটি ভন্ডামির জ্বলন্ত উদাহরণ পাকিস্তানের। এর মধ্য দিয়ে ১৬ কোটি বাঙালির আবেগের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা তাদের। পাকিস্তান তাদের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা থেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে, যা সবসময়ই বাংলাদেশের পরিপন্থী। এই মার্চেই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে হত্যাযজ্ঞ চালায় মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা পরিকল্পিতভাবে রাত সাড়ে এগারটায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়। তারা ঢাকার ফার্মগেট, পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং  সেদিন মধ্যরাতে (রাত ১টা ১৫ মিনিট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। যার কয়েক মিনিট আগেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের রাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও রেহাই দেয়নি।

যে কেউ অনুধাবন করবে পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও কর্তৃত্বপরায়ণতাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের   একমাত্র নেপথ্য কারণ। এর পেছনে ধর্ম কোনো কারণ হতে পারে না। এদিকে শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশে ও এ উপমহাদেশে- সর্বোপরি গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ২০২০-২০২১ ‘মুজিববর্ষ’-এর উদযাপন নিশ্চিতভাবে পরাজিত করবে পাকিস্তানের ২৩ মার্চের সাম্প্রদায়িক কূটনীতিকে। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালন স্পষ্টতই দেশটির একটি অপতৎপরতা। তারা  ভুলে গেছে সে ক্ষতের কথা, যার জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫-২৬ মার্চ বাংলার নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের সহযোগিতায় বর্বর পাকবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে। এই মুহূর্তে যখন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান   স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ পালন করছে, তখন ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালন দেশটির লুকায়িত এজেন্ডার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ, যা অপতৎপরতায় পূর্ণ।

সর্বশেষ খবর