শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবার চীনের বিরুদ্ধে সরব আমেরিকা

আবার চীনের বিরুদ্ধে সরব আমেরিকা

ভারত-চীন সংঘাতে চীনের বিরুদ্ধে আবার সরব হলো আমেরিকা। একই সঙ্গে মার্কিন মুলুকে চীনের দূতাবাস কর্মীদের ওপর আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। গত পরশু পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে নতুন নিয়ম ঘোষণা করেন তার মধ্যে রয়েছে, কোনো কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শনের আগে বা স্থানীয় কর্মকর্তাদের  সঙ্গে বৈঠকের আগে ঊর্ধ্বতন চীনা কূটনীতিকদের অনুমতি নিতে হবে। তা ছাড়া তারা যদি চীনা দূতাবাস বা কনসুলার দফতরের বাইরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং তাতে যদি শ্রোতা সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হয় তা হলে আগেই সে জন্য অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে চীনের বিষয়ে পম্পেও অভিযোগ করেন, হিমালয়ের লাদাখ থেকে তাইওয়ান পর্যন্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে ‘অন্যায়’ আচরণ করছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। দক্ষিণ চীন সমুদ্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগর, চীন সর্বত্র আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘাত শুরু হয়েছে। জুনে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। সম্প্রতি ফের ভারত এবং চীনের মধ্যে সংঘাত হয়েছে লাদাখে। সিকিম সীমান্তেও রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। চীনকে কটাক্ষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বক্তব্য, তাইওয়ান থেকে হিমালয় পর্যন্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে অন্যায় করছে   চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। এর আগেও লাদাখ সংকট নিয়ে মুখ খুলেছিল আমেরিকা। ভারত এবং চীনের  মধ্যে মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড  ট্রাম্প। সে সময়েও পম্পেও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, সীমান্তে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে চীন। বুধবার কার্যত সেই একই কথা বললেন পম্পেও।

পম্পেও আরও বলেন, চীনা সরকার তাদের সরকার পরিচালিত সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করুক এটিও তাদের প্রশাসন চায়। তিনি বলেন, চীনে কর্মরত আমেরিকার কূটনীতিকদের ওপর একই ধরনের নিয়ম আরোপ করার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কূটনীতিকদের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন আমরা শুধু পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দিকে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্ত আরও একটি অন্যায্য বিধিনিষেধ এবং প্রতিবন্ধকতা।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কূটনীতিকদের ওপর এই নতুন নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্কের অবনতির সর্বসাম্প্রতিক লক্ষণ। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের অন্যতম প্রচারের বিষয় পররাষ্ট্রনীতি। করোনার সময় থেকেই চীনের সমালোচনা করছেন তিনি। সম্প্রতি আমেরিকায় চীনের বেশ কয়েকটি কনসুলেট বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কিছু দূতাবাস কর্মীকে। বুধবার ফের বেশ কিছু নতুন নিয়মের কথা জানান পম্পেও।

সর্বশেষ খবর