শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রয়োজন হবে না সুচ বা কোল্ড স্টোরেজ

প্রয়োজন হবে না সুচ বা কোল্ড স্টোরেজ

এবার ভ্যাকসিন নিতে প্রয়োজন হবে না ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। এমন কী এই ভ্যাকসিন স্টোর করা যাবে ঘরের তাপমাত্রাতেই। সম্প্রতি এ কথা ঘোষণা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা। মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই করোনা ভ্যাকসিন। সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই বছরের শেষের দিকে ছয় থেকে আটটি নতুন টিকা ক্লিনিকাল স্টাডি শেষ করতে পারে। তারপর সেগুলো রেগুলেটরি রিভিউয়ের জন্য পাঠানো হবে। কভিড-১৯ কে মহামারী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই বাজারে প্রায় ১০টি ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। কিন্তু বিশ্বে আরও বেশি টিকাদান প্রয়োজন। বিশেষত ভাইরাসটি যেভাবে দ্রুত রূপ পরিবর্তন করছে ও সংক্রমিত হচ্ছে তাতে ড্রাগ প্রস্তুতকারকরা অর্ডার পূরণের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত মাত্র ১২২টি দেশ টিকা দিতে শুরু করেছে। স্বামীনাথন বলেছেন, ‘আমাদের যে ভ্যাকসিন রয়েছে তা নিয়ে আমরা থ্রিলড। তবে আমরা আরও উন্নতি করতে পারি।

 আমি মনে করি, ২০২২ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।’ এখন যে ভ্যাকসিনগুলো পরীক্ষামূলক স্টেজে রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। সিঙ্গল শটের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যাতে এগুলো নাকের স্প্রের মাধ্যমে বা মুখের মাধ্যমে বা ত্বকের প্যাঁচ ব্যবহারের মাধ্যমে নেওয়া যায় সেদিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এগুলো বিশেষ গ্রুপ যেমন গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় তা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ৮০ টিরও বেশি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষিত হচ্ছে। যদিও কিছু এখনো পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এটি সফল নাও হতে পারে। বাজারে যে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন রয়েছে সংস্থাগুলো সেগুলোকেই আরও আপগ্রেড করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর