মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সৌদি থেকে সরছে মার্কিন মিসাইল সিস্টেম

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রিয়াদ

আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্রুত পাল্টাচ্ছে সমীকরণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশগুলোয় মোতায়েন মিসাইল সিস্টেম সরিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা। সেই তালিকায় রয়েছে সৌদি আরবও। ফলে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রিয়াদ। যদিও দেশটির বক্তব্য, মার্কিন এ সিস্টেম প্রত্যাহার করা হলেও জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। এ ছাড়া, ওই জায়গাগুলোতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে। বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলোর চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যায় সেনা ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে আমেরিকাকে।  সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, এবার সেই সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে আনতে চলেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কুয়েত, ইরাক, জর্ডান ও সৌদি আরব থেকে বেশ কয়েকটি মিসাইল সিস্টেম সরিয়ে ফেলতে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

এ পরিস্থিতিতে সৌদি মিত্রবাহিনীর প্রধান তুর্কি আল-মালিকি বলেন, ‘আমেরিকার মিসাইল সিস্টেম না থাকলেও সৌদি আরবের এয়ার ডিফেন্স সেই অর্থে প্রভাবিত হবে না। নিজেদের দেশকে বাঁচানোর মতো ক্ষমতা আমাদের আছে।’

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে ইরানের সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে মিত্রবাহিনী। ওই বাহিনীতে রয়েছে জর্ডান, কাতার ও সুদানের সেনারা। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার সৌদি আরবের তেল শোধনাগারগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে হুথিরা। রবিবারও বেশ কয়েকটি হুথি ড্রোন ধ্বংস করে সৌদি বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম না থাকলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যাবে সৌদি আরব, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, আমেরিকার মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে রাশিয়া ও চীন। ইউক্রেনের হাত থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ইউরোপে নিজের অভিসন্ধি সাফ করে দিয়েছে মস্কো। একইভাবে, দক্ষিণ চীন সাগরে আগ্রাসন চালিয়ে আমেরিকাকে বিপাকে ফেলেছে বেইজিং। ফলে ওই দুই দেশকে নজরে রেখেই মিসাইল মোতায়েন করতে চলেছে পেন্টাগন। তাই ইরানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্রন্টে আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষেই বাইডেন প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর