দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বৈঠক বসছে আগামীকাল। কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আয়োজিত এ বৈঠকে মিয়ানমারকে অংশ নিতে দিচ্ছে না আসিয়ান। গতকাল জোটের চেয়ারপারসনের মুখপাত্র জানান, বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারকে জান্তা সদস্য নন, এমন কোনো বেসামরিক প্রতিনিধিকে পাঠাতে বলা হয়েছিল। দেশটি এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই এবারের বৈঠকে মিয়ানমারকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। এবারের বৈঠকে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের দেড় বছর ধরে চলা জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে বলা হয়েছে, চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হবে। গতকাল এ তথ্য দিয়েছে আল-জাজিরা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর ক্ষমতাসীন রাজ্য প্রশাসন কাউন্সিল (এসএসি) প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ওই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে সমর্থন করায় মিন অং হ্লাইং জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াবেন। মিন অং হ্লাইং বলেছেন, আমাদের দেশে অবশ্যই ‘অকৃত্রিম ও সুশৃঙ্খল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ শক্তিশালী করতে হবে, যা জনগণের আকাক্সক্ষা। এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত।