রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইরানে ৯ ইউরোপিয়ান গ্রেফতার

ইরানে নিরাপত্তা হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর জেরে রক্তক্ষয়ী প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই গোয়েন্দারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অন্তত নয়জন নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ‘বিদেশি সংস্থার গুপ্তচর’ এবং চলমান বিক্ষোভের পেছনে তাদের হাত আছে কিংবা তারা এই বিক্ষোভে জড়িত বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।  তবে দেশটিতে সহিংসতা কমে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নিরাপত্তা হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি নিহত হওয়ার পর রাজধানী তেহরান থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের মাথার স্কার্ফ আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। এসব বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যান। হিজাব বিষয়ক কঠোর আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

এদিকে কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেননি যে ইউরোপিয়ান ওই নয়জন নাগরিককে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে তারা ১০টি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, চলমান বিক্ষোভে বিদেশিদের কিংবা বিদেশে থাকা বিরোধী গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে।

গ্রেফতার হওয়া এসব ব্যক্তি পোল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তারা বলছে, জার্মান, ফ্রান্স, ব্রিটিশ ও সুইডিশ দূতাবাসকে তাদের এজেন্টদের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তারা আরও দাবি করেছে, বিক্ষোভ চলার সময় এবং এর আগেও কয়েকবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে হয়তো আন্দোলন তৈরি কিংবা বিশৃঙ্খলাকে উসকে দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ছিল সাইবার হামলা এবং বিবিসি পার্সিয়ান ও ইরান ইন্টারন্যাশনালের মতো কিছু বেসরকারি মিডিয়ায় ‘দাঙ্গা পূর্ব ভুয়া সংবাদ’ ছড়ানো। মাহসা আমিনিকে পুলিশ আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়ার পরই তিনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন এবং পরে তিন দিন কোমায় থাকার পর তিনি মারা যান। তার পরিবারের বিশ্বাস, তাকে কর্মকর্তারা মারধর করেছেন। তবে পুলিশ বলছে, তিনি হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বিবিসি

 

সর্বশেষ খবর