শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাইডেনের মুখে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা

বাইডেনের মুখে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে আট মাস হতে চলল। তবে যুদ্ধের ফলাফল কী হবে তা আপাতত কারও জানা নেই। কত দিন চলবে এ যুদ্ধ, তারও কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দিন যত যাচ্ছে ততই এ যুদ্ধ যে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে তা আন্দাজ করছেন অনেকেই।

সর্বশেষ এ ভয় উসকে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘১৯৬২ সালের পর এবারই মানবসভ্যতা-বিধ্বংসী পরমাণু যুদ্ধের (আরমাগেডান) সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিশ্ব।’

নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে প্রতিকূল অবস্থায় পড়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেছেন তা আসলে তিনি মজা করার জন্য বলেননি। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার যুদ্ধের গতিপথ বোঝার চেষ্টা করছে। বলা যায়, ইউক্রেনে রুশ বাহিনী বেশ নাজুক অবস্থায় দিন পার করছে।’

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল। সে সময় দুই দেশের (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুত্তরাষ্ট্র) মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা ‘সবচেয়ে বেশি’ ছিল বলে মত ইতিহাসবিদদের। এদিকে, বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে।

বাইডেন বলেন, ‘যদি তাদের (রুশ বাহিনী) এ অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের পর এই প্রথম সরাসরি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকিতে পড়েছি আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরেপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অবশ্য কিছুদিন ধরে পুতিনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গত সপ্তাহে বলেন, রাশিয়া শিগগিরই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন কোনো আলামত দেখা যায়নি।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও একই ভাষায় পুতিনকে নিয়ে হুঁশিয়ার করেছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোকে।

বাইডেন আরও বলেন, পুতিন যখন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা জৈবিক বা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেন তখন তিনি রসিকতা করেন না। তার সামরিক বাহিনী এখন উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল।

প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার   কয়েকদিন পরই দেশের সব পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র ‘অ্যালার্টে’ রেখে ইউক্রেনকে হুমকি দিয়েছিল  রাশিয়া। সেই সঙ্গেই ন্যাটো দেশগুলো ও পশ্চিমা বিশ্বকেও বার্তা দিয়েছিলেন পুতিন। এরই মধ্যে  সম্প্রতি সামরিক গতিবিধি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন তিনি। সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিও করেছেন। এসবের মধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ক্রমে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে রাশিয়ার।

সর্বশেষ খবর