শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

৭১-এ পুতিন, যা জানা জরুরি

৭১-এ পুতিন, যা জানা জরুরি

যিনি এককেন্দ্রিক বিশ্বকে বদলে দিতে চান। আবার সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখেন। আর এ কারণে যুদ্ধ বাঁধাতে কোনো চিন্তা করেন না। সেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন গতকাল ৭১ বছরে পা রেখেছেন। তার এই দীর্ঘ জীবনের সাতটি মোড় ঘোরানো ঘটনা রয়েছে, যা তার আজকের দিনের চিন্তাধারা এবং পশ্চিমা বিশ্ব থেকে তার বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে।

জুডো খেলা দিয়ে শুরু : ৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে লেলিনগ্রাদে জন্ম নেন ভøাদিমির পুতিন। ১২ বছর বয়সে শুরুতে সে রাশিয়ান মার্শাল আর্ট ‘সাম্বো’ শেখা শুরু করে এবং তারপর শেখে জুডো। ওই সময় থেকেই তিনি ছিলেন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এবং সুশৃঙ্খল স্বভাবের। ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি পেয়ে যান জুডো   ব্যাক বেল্ট এবং জাতীয় জুনিয়র প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তার এই খেলোয়াড়ি মানসিকতা তাকে এই উপলব্ধিতে পৌঁছাতে সাহায্য করে যে কোন লড়াই যখন অবধারিত তখন ‘প্রতিপক্ষকে আগে আঘাত করতে হবে, এমন শক্ত আঘাত হানতে হবে যাতে সে যেন আর কোনোদিন উঠে দাঁড়াতে না পারে।’

গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি : মানুষজন সাধারণভাবে লেনিনগ্রাদের ৪ লিটেনি প্রসপেক্টে অবস্থিত সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির রাজনৈতিক পুলিশের সদর দফতর এড়িয়ে চলত। স্ট্যালিনের যুগে এত মানুষকে এর জিজ্ঞাসাবাদ সেল পার হয়ে গুলাগের শ্রম শিবিরে যেতে হয়েছে যে এ নিয়ে রীতিমতো তিক্ত রসিকতা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।

১৬ বছর বয়সে লালগালিচা পাতা সেই ভবনটিতে প্রবেশ করেছিলেন পুতিন। আর আইনে স্নাতক করার পর তিনি চাকরি পান কেজিবিতে।

কেজিবি ত্যাগ : সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর পুতিন কেজিবি ত্যাগ করেন। কিন্তু দ্রুতই আজ যেটি সেন্ট পিটার্সবার্গ সেই শহরের সংস্কারপন্থি নতুন মেয়রের একজন সহায়তাকারী হিসেবে একটি কাজ জুটিয়ে ফেলেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন : সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিনি কেজিবি-পরবর্তী এফএসবির প্রধান হন। এরপর প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন ১৯৯৯ সালে পদত্যাগ করলে পুতিন তার উত্তরসূরি হন। পুতিন বলেছেন, কেজিবি ক্যারিয়ার তাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করেছিল। ২০০০ সালে পুতিন যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন, তখন তিনি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন জুড়ে প্রভাব বলয় সৃষ্টিসহ পশ্চিমের সঙ্গে নিজের মতো করে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু বেশ দ্রুতই তিনি হতাশ হয়ে পড়েন, তারপর ক্ষুব্ধ। এরপর পুতিনের কাছে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠে শক্তিই ক্ষমতার উৎস-এবং দুর্বল ও অস্থির পশ্চিমারা ফোঁসফোঁস করবে ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দৃঢ় সংকল্পের মুখে পিছিয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর