শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে মন্দার শঙ্কা

সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে মন্দার শঙ্কা

ওপেক প্লাস দেশগুলো গত সপ্তাহে তেলের উৎপাদন কামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে চরম  ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ওপেক প্লাসের নেতৃত্বে আছে সৌদি আরব। ওই সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে সৌদিকে হুমকিও দিয়ে রেখেছে। আর আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও বেড়ে অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।  ওপেক প্লাস গত সপ্তাহে তাদের তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল হ্রাস করার সিদ্ধান্ত জানায়। গতকাল আইইএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অর্থনীতির লাগামহীন অবনমন এবং ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর   সিদ্ধান্তের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে।’

‘ক্রমাগত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপ, সুদের হার বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণে এরই মধ্যে মন্দার দ্বারপ্রান্তে থাকা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এ সিদ্ধান্ত অবশ্যম্ভাবী পতন ডেকে আনবে।’ আইইএ-র মাসিক জ্বালানি প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা   রয়টার্স। পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) এবং তাদের মিত্র তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো (যার মধ্যে রাশিয়াও অন্তর্ভুক্ত) মিলে ওপেক প্লাস গঠিত।

যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি কানে না তোলায় সৌদি আরবকে এর ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র- সৌদি আরব সম্পর্কে এর প্রভাব পড়বে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্যরা সৌদি আরবকে নতুন করে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সৌদি আরবকে কয়েক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে তারা বলেছেন, ওপেক প্লাস তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি বদলাতে হবে। নয়ত ১ বছরের জন্য সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে রিয়াদ বলছে, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত ‘পুরোপুরি অর্থনৈতিক’ এবং ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেক প্লাস আন্তর্জাতিক বাজারে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করার কথা বলেছে। যদিও আইইএ ধারণা করছে, দৈনিক সরবরাহ কমার পরিমাণ ১০ লাখ ব্যারেলের আশেপাশে থাকবে।

ওদিকে জি৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে। আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাজারে তেলের জোগান আরও কমবে।

সর্বশেষ খবর