শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রক্তের নতুন গ্রুপের রহস্য জানা গেল

রক্তের নতুন গ্রুপের রহস্য জানা গেল

রক্তের গ্রুপ বলতেই আমরা এ, বি, ও, এবি কেই বুঝি। এ ছাড়াও অন্যান্য বিরল রক্তের গ্রুপ রয়েছে। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা এমন একটি রক্তের গ্রুপ সিস্টেম পেয়েছেন, যা শুধু নতুন নয়। এটি খুবই বিরল। সেই সঙ্গে ৩০ বছরের পুরনো রহস্য থেকেও পর্দা উঠেছে।

ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল এবং এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টের বিজ্ঞানীরা রক্তের ‘ইআর’ নামক নতুন আরেকটি বিরল গ্রুপ সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন। খবর দ্য সিয়াটল টাইমস এবং ওয়্যারডের যে কোনো ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ দেখে তার রক্তে অনেক ধরনের প্রোটিন আছে কি না তা শনাক্ত করা হয়। এই প্রোটিনগুলো সাধারণত লোহিত রক্তকণিকার উপরের পৃষ্ঠে থাকে। যেখানে দেখা যায় বৈচিত্র্য। অর্থাৎ একজনের রক্ত অন্যজনের রক্ত থেকে আলাদা।

যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে এক নবজাতক রক্তের সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। চিকিৎসকেরা তাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভ থেকে বের করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করেন। কিন্তু ওই বাচ্চা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এ ক্ষরণ কেন হয়েছিল তা ধরতে পারেননি চিকিৎসকেরা। তবে তারা বুঝতে পেরেছিলেন ওই মায়ের রক্তে কিছু ভিন্নধর্মী অ্যান্টিবডি রয়েছে। ওই মায়ের রক্তের নমুনার ওপর গবেষণা করেই নতুন রক্তের গ্রুপ ‘ইআর’ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

৩০ বছরের পুরনো রহস্য উন্মোচিত : তাদের তিনটি অ্যান্টিজেনের রহস্য অধ্যয়ন করতে হয়েছিল, যা জেনেটিক্যালি ভিন্ন কিন্তু কোনো রক্তের গ্রুপ সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খায় না।

শুধু এই অ্যালোঅ্যান্টিবডিগুলোর অধ্যয়নের সময় এটি পাওয়া গিয়েছে যে একটি ইআর অ্যান্টিজেনও রয়েছে। যা মাত্র ৩০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আর কিছুই জানা যায়নি। এটি সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের জন্য একটি রহস্য ছিল। বিজ্ঞানীরা জিন কোডিং দিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। ডিএনএ সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল। এবার অনেকটা সমাধান হলো।

সর্বশেষ খবর