রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজীবের ঘাতকরা ৩১ বছর পর কারামুক্ত

রাজীবের ঘাতকরা ৩১ বছর পর কারামুক্ত

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার ঘাতকরা ৩১ বছরের কারাবাস শেষে গতকাল সন্ধ্যার দিকে কারাগার থেকে ছাড়া পান। নলিনী শ্রীহরণ ও অন্য পাঁচ আসামিকে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার এক দিন পর তারা কারামুক্ত হন।

দেশটির বহুল আলোচিত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- নলিনী শ্রীহরণ, তার স্বামী মুরুগান, সান্থান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। গতকাল ভেলোরের কারাগারে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই মামলার আরেক আসামি আরপি রবিচন্দ্রনকেও যে কোনো সময় জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নলিনী শ্রীহরণ গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২ এর আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। পরে প্যারোলের শর্ত অনুযায়ী, গতকাল সকালের দিকে ভেলোরের একটি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হাজিরা দেন নলিনী। সেখান থেকে ভেলোরে নারীদের বিশেষ কারাগারে নেওয়া হয় তাকে। এই কারাগারে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর নলিনীকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান, যেখান থেকে তার স্বামী ভি শ্রীহরণ, মুরুগান এবং সান্থানও মুক্তি পান। গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ জি পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেন; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার ২০১৮ সালে রাজ্যপালের কাছে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আসামিদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানায়।

১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। ১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরণের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদন্ডকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে রূপান্তরিত করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এনডিটিভি।

 

সর্বশেষ খবর