রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দায় বেশির ভাগ এপেকের সদস্য

ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দায় বেশির ভাগ এপেকের সদস্য

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিশ্ব। এক পক্ষ সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর হয়। অন্য পক্ষ নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। এর মধ্যে এশিয়ার দেশগুলো নিরপেক্ষ থাকার তালিকায় নাম লেখায়। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হামলা চালায় রাশিয়া।

তবে গতকাল এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সংস্থার সম্মেলন শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ জোটের বেশির ভাগ সদস্য দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নিন্দা জানায়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ২১ সদস্যের এ জোটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং উপস্থিত ছিলেন। জোটের বেশির ভাগ দেশ এশিয়া মহাদেশের। জোটের নেতারা বলেছেন, তারা বেশির ভাগই যুদ্ধের বিপক্ষে। কারণ এ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সব কিছুতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে, মানুষ নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

২১ সদস্যের এ জোটে রয়েছে রাশিয়া ও চীনও। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করলেও এখন পর্যন্ত সরাসরি মস্কোর সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছে বেইজিং। আল-জাজিরা।

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলন শেষেও ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা জানানো হয়। এপেক গতকাল যে বিবৃতি দিয়েছে সেটির সঙ্গে জি-২০ জোটের দেওয়া বিবৃতির মিল রয়েছে। এপেক জোট বলেছে, যদিও এটি কোনো নিরাপত্তা জোট নয়। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভিন্ন অভিমত আছে বলেও জানিয়েছে তারা। এদিকে, রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনা চলায় জি-২০ এবং এপিইসি জোটের সম্মেলনেও যোগ দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার বদলে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। অন্যদিকে এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে ব্যাংকক যান উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসোভ।  অর্থনৈতিক সমন্বয়ের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এপেক জোটের বর্তমান সদস্য বিশ্বের ২১টি দেশ। এ জোট বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৬২ শতাংশ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ৪৮ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এপেক গঠন করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, পেরু, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামকে নিয়ে।

সর্বশেষ খবর