ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘নির্বিচার সন্ত্রাসের’ নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশটিতে রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করেছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। এক বিবৃতিতে জোসেফ বোরেল বলেন, এই নিষ্ঠুর, অমানবিক হামলার লক্ষ্য হলো মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো এবং ইউক্রেনের জনগণকে বঞ্চিত করা। হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা এবং বিদ্যুৎ ও পানির মতো অন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো থেকেও তাদের বঞ্চিত করার লক্ষ্যেই এসব হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর এসব বোমা হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও বর্বর কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন জোসেফ বোরেল। এসব ঘটনার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন শোনা গেছে। শুক্রবার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গতকাল নতুন করে দেশজুড়ে ব্যাপক সাইরেন বেজে ওঠে। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে কিয়েভের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার কিয়েভে রুশ বাহিনীর নিক্ষেপ করা ৪০ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩৭টিই ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভের সামরিক প্রশাসন। প্রশাসনের মুখপাত্র মিখাইলো শামানভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কিয়েভ এলাকায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সমর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে রাশিয়া নতুন সর্বাত্মক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের এমন সতর্কবার্তার পর শুক্র ও শনিবার দেশটিতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
অক্টোবরের শুরু থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে চলেছে রাশিয়া। বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েকটি স্থানে পিছিয়ে পড়ার এমন হামলা শুরু করে রাশিয়া। মস্কো বলছে, তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করতে এমন হামলা চালাচ্ছে। আর ইউক্রেন বলছে, এমন হামলার মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করছে। -আলজাজিরা