বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমানোর আইন পাস পাকিস্তানে

প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমানোর আইন পাস পাকিস্তানে

উমর আতা বান্দিয়াল

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘যদি প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করতে আইন না বানানো হয়, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’ এরপরই বিল পাকিস্তানের সংসদে পেশ করা হলো। তার প্রধান লক্ষ্যই প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করা। কেননা দেশটিতে প্রধান বিচারপতি অনেক ক্ষমতার মালিক। প্রধান বিচারপতির এই শক্তির কারণেই দেশটির এক সময়ের শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে সেই শক্তি খর্ব করতেই ব্যবস্থা নিল শাহবাজ শরিফ।

ঘটনার সূত্রপাত পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নির্বাচনকে ঘিরে। গত ২২ মার্চ আকস্মিকভাবে নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। ৩০ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের নির্দেশ থাকলেও, তা পিছিয়ে ৮ অক্টোবরে করার সিদ্ধান্ত জানায়। পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল, তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এ ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে একে ‘অসাংবিধানিক ও অবৈধ’ বলে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পিটিআই সুয়োমোটো নোটিস জারির জন্য মামলা করলে, সেটি গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মামলার শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল তার পর্যবেক্ষণে জানান, (আদালতের পূর্ব নির্দেশ থাকায়) নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আইনি অধিকার নেই ইসিপির। বেঞ্চের দুই বিচারক এর বিরোধিতা করলেও, রায় ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জারি করা হয়। ওই বিচারপতিদের দাবি ছিল শীর্ষ আদালত কখনো একজন ব্যক্তি তথা প্রধান বিচারপতির একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হতে পারে না। এরপরই প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাসে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপপস পার্টির জোট সরকার। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকারের সমর্থন আছে।

সর্বশেষ খবর