বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা চলছেই

তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা চলছেই

তাইওয়ানকে আতঙ্কে রাখতে সামরিক আয়োজন অব্যাহত রাখছে চীন। ফলে তাইওয়ানকে ঘিরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ আরও প্রকট হয়ে উঠছে। তিন দিনের ঘোষিত সামরিক মহড়ার পরও তাইওয়ানের আশপাশে চীনা যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরে যায়নি। সোমবার রাতে মহড়ার সমাপ্তির ঘোষণা করলেও তাইওয়ান দাবি করছে যে, নয়টি চীনা রণতরী ও ২৬টি যুদ্ধবিমান এখনো ওই অঞ্চলে টহল দিচ্ছে। এ অভিযোগ করেছে তাইপে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। তাই দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে অনেক দিন ধরে শক্তি দেখিয়ে আসছে বেইজিং। তবে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে।

তাইওয়ান ঘিরে চীনের তিন দিনব্যাপী সামরিক মহড়াকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণ অভিহিত করে চীনের সমালোচনা করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সাই। বৈঠক শেষে সাই তাইপে ফেরার পর গত শনিবার তাইওয়ান ঘিরে মহড়া শুরু করে বেইজিং।

চীন আগেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। ফেসবুকের এক পোস্টে সাই লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বিশ্বের কাছে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ফলে তার বিদেশ সফর নতুন কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্র সফরও ব্যতিক্রম নয়। অঞ্চলের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে চীনের এমন মনোভাব মোটেই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিচ্ছে না বলে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন।

চীনের সর্বশেষ সামরিক মহড়া জাপানেরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সে দেশের দক্ষিণের দ্বীপগুলো তাইওয়ানের কাছে থাকায় সম্ভাব্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিশাল ঘাঁটি রয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে তৎকালীন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের সময় চীন যে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, সে সময় চীনা ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার গন্ডির মধ্যে পড়ে। মার্কিন প্রশাসনও তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের কড়া মনোভাবের প্রেক্ষাপটে হাত গুটিয়ে বসে নেই। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের সঙ্গে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে।

 

সর্বশেষ খবর