সুদানে তিন দিন ধরে চলা লড়াইয়ে গতকাল সকালে রাজধানী খার্তুমে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। সুদানের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী গোষ্ঠী ‘সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদানিজ ডক্টরস’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ সহিংসতায় প্রায় ১০০ বেসামরিক নিহত ও ৩৬৫ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির সরকার হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি আর দেশটির কর্তৃত্ব এখন কার হাতে তাও পরিষ্কার নয়।
এদিকে সুদানে নতুন করে অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন পার্শ্ববর্তীসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জি-৭ দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সময় সুদানে যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, সুদানের জনগণ চাচ্ছে সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাক। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র চায়। তারা বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার চায়। সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ লড়াইয়ের সূত্রপাত। আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই পক্ষ রবিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। সুদান উত্তর আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এটি এলাকার দিক থেকে আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ। সুদান পৃথিবীর সবচেয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ববহুল দেশগুলোর অন্যতম।
কে এই জেনারেল হেমেদতি : কে এই জেনারেল ‘হেমেদতি’, যিনি সুদানের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন? হয়ে উঠেছেন সুদানের শক্তিশালী আরএসএফ বাহিনীর পেছনের মূল কারিগর? আরএসএফের এই বিশাল প্রভাবের পেছনে মূল কান্ডারি এর নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি পরিচিত ‘হেমেদতি’ বা ‘লিটল মোহাম্মদ’ নামে। ২০১৯ সালে প্রাক্তন শাসক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশ শাসনের জন্য অন্তর্র্বর্তীকালীন কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর তিনি ক্রমেই একজন শক্তিশালী নেতা হয়ে উঠেছেন।