শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাশিয়া-ইউক্রেন শস্যচুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে

রাশিয়া-ইউক্রেন শস্যচুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে

রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শস্যবিষয়ক চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান সিন্ডি ম্যাকেইন। ১৮ মে এ মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বকে খাদ্যের জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সিন্ডি বলেন, ‘চুক্তিটি অবশ্যই নবায়ন করতে হবে। তা না হলে খাদ্য সংকটে পড়ে যাবে গোটা বিশ্ব। তবে তার এ শঙ্কার মধ্যেই ইতিবাচক খবর জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। গতকাল সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার শস্য চুক্তির মেয়াদ ১৮ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরেক দফায় চুক্তিটির মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়তে পারে। মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণাটি দিতে পারেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত বছরের জুলাইতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এ শস্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। শুরুতে ১২০ দিনের জন্য চুক্তিটি সই হয়। পরে কয়েক দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

রাশিয়া বরাবরই এ চুক্তির সমালোচনা করে আসছে। দেশটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পশ্চিমা বিধিনিষেধের কারণে রাশিয়ার নিজস্ব কৃষিপণ্য ও সার রপ্তানিতে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ১৮ মে শস্য চুক্তি থেকে সরে আসবে দেশটি।

ইউক্রেনকে ইউরোপের রুটি ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। তবে যুদ্ধের কারণে সেই শস্যের জোগান দিতে পারছে না দেশটি, এর প্রভাব পড়ছে অন্যান্য দেশেও।’

রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তিতে বলা আছে, খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো কিয়েভকে ব্যবহার করতে দিতে হবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকেই বন্দরগুলো অবরোধ করে রেখেছিল রাশিয়া। রুশ যুদ্ধজাহাজ দিয়ে ঘেরাও ছিল বন্দরগুলো। সূর্যমুখী বীজ, গম, বার্লিসহ বিপুল শস্য রফতানি করে ইউক্রেন। বিশ্ব চাহিদার প্রায় অর্ধেকের বেশি গমই আসে দেশটি থেকে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর