শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অর্থ উদ্ধারে অংশ নিতে পারবেন সবাই

পৃথিবীতে আসা মহাজাগতিক বার্তা

এলিয়েন নিয়ে চিন্তাভাবনার কোনো শেষ নেই মানুষের। বিজ্ঞান হন্যে হয়ে খুঁঁজছে এর অস্তিত্ব। ঠিক এ অবস্থায় মঙ্গল থেকে এলিয়েনদের সাংকেতিক বার্তা এলো পৃথিবীতে! ইতিহাসে এই প্রথম। কিন্তু সত্যিই কি এলিয়েনরাই এ বার্তা পাঠাল? তৈরি হয়েছে গভীর কৌতূহল। ভবিষ্যতে যদি সত্যিই মঙ্গল থেকে কোনো সাংকেতিক বার্তা পৃথিবীর দিকে আসে, তাহলে কেমন হবে সেটা, তা পরীক্ষা করতেই এই বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে ইএসএ। রাত ৯টা নাগাদ এ বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল, দেখা যায় ১৬ মিনিট পরে সেটা পৃথিবীতে পৌঁছায়। এখন এর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ গবেষণায় চাইলে যে কেউ অংশ নিতে পারেন বলে জানিয়েছে একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এলিয়েন যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে কী হবে? এ প্রশ্নের খানিকটা উত্তর পাওয়ার জন্য ভিন্নধর্মী এক পরীক্ষা চালাচ্ছে এসইটিআই ইনস্টিটিউট নামক ওই মার্কিন সংস্থা। তাদের এ মহাজাগতিক বার্তা একই সঙ্গে শৈল্পিক প্রকল্প ও কারিগরি প্রশিক্ষণের অংশ। কোনো এলিয়েন বার্তার অর্থ উদ্ধার করা, তার ব্যাখ্যা করা এবং এমন বার্তা কখনো পৃথিবীতে এলে তা মানব সভ্যতার ওপর কী প্রভাব ফেলবে এসব বিষয়েই জানতে আগ্রহী এসইটিআই। ২৪ মে এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার থেকে ওই বিশেষ বার্তাটি পাঠানো হয়েছে।

এই গ্যাস অরবিটারটি ২০১৬ সালে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি বর্তমানে মঙ্গলের চারদিতে পাক খাচ্ছে গ্রহটির বায়ুমন্ডল নিয়ে নতুন তথ্য জানার উদ্দেশ্যে। পাঠানোর পর পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছাতে বার্তাটির সময় লাগে ১৬ মিনিট। এরপর পৃথিবীতে অবস্থিত তিনটি অবজারভেটরি নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালেন টেলিস্কোপ অ্যারে, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রিন ব্যাংক টেলিস্কোপ ও ইতালির মেডিসিনা রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্টেশন পাঠানো বার্তাটি শনাক্ত করে। বার্তাটি গ্রহণের পর এটিকে ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ এ বার্তাটির অর্থ উদ্ধার ও তার ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ যে কারোরই রয়েছে। এটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডিসকর্ডে একটি চ্যানেলও তৈরি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর