‘সাম্রাজ্যবাদী ফ্রান্স নিপাত যাক। পুতিন দীর্ঘজীবী হোন।’ হাজার হাজার মানুষের স্লোগানে রবিবার কেঁপে ওঠে নাইজারের ফরাসি দূতাবাস। শুধু তাই নয়, দূতাবাসের ফলক খুলে টাঙিয়ে দেওয়া হয় রাশিয়া ও নাইজারের পতাকা।
গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর দুই দিন পর অভ্যুত্থানের নেতা প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে তিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।
পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ নাইজার। ইউরেনিয়াম, কয়লা, সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন উপনিবেশ থাকার পর ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের হাত থেকে স্বাধীনতা পায় নাইজার। তবে আজও দেশটিতে ফরাসি প্রভাব রয়েছে। অভিযোগ, আজও দেশটির সম্পদ লুট করছে প্যারিস। এ প্রেক্ষাপটে গত বুধবার নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানেও মদদ রয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর। উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশ যেমন- সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি, লিবিয়া, সুদানে সক্রিয় ওয়াগনার। সিরিয়াতেও আসাদ সরকারের হয়ে লড়ছে ওয়াগনার।
আফ্রিকান নেতাদের হুমকি : নাইজারে ক্ষমতা দখলকারী জান্তাপ্রধান আবদোরাহমানে তিয়ানিকে এক সপ্তাহের মধ্যে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আফ্রিকান নেতারা। অন্যথায় বল প্রয়োগ করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা। ইতোমধ্যে জান্তা নেতাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি আফ্রিকার ১৫ সদস্যের ইকোওয়াস কীভাবে শক্তি প্রয়োগ করবে।