উত্তরাধিকারের কথা ভেবে এই নির্বাচনে আমি লড়ছি না। যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা শেষ করার জন্য এই নির্বাচনে আমায় লড়তে হবে। কাজের গতি কমে গেছে বলে আমি মনে করি না
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলন শেষের সংবাদ সম্মেলনের দিকে নজর ছিল সবার। এ সংবাদ সম্মেলন ছিল বাইডেনের জন্য নিজের বয়স নিয়ে উদ্বেগ দূর করে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা প্রমাণের এক অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই মঞ্চেই একের পর এক ভুল করে তার অবস্থা হলো লেজেগোবরে। তারপরও ন্যাটো অধিবেশনের শেষ দিনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরাধিকারের কথা ভেবে এই নির্বাচনে আমি লড়ছি না। যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা শেষ করার জন্য এই নির্বাচনে আমায় লড়তে হবে। কাজের গতি কমে গেছে বলে আমি মনে করি না।’
উল্লেখ্য, সিএনএনে কিছুদিন আগেই মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের হয়ে এবার তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সেই বিতর্ক সভায় শারীরিকভাবে যথেষ্ট তরতাজা ছিলেন না বাইডেন। উত্তর দিতে দিতে কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বিতর্ক সভার মধ্যে কার্যত ঘুমিয়ে পড়েছেন। পরে তিনি বলেছেন, দীর্ঘ সফরের কারণেই ওই দিন তিনি খুব সুস্থ ছিলেন না।
কিন্তু বাইডেনের আচরণ দেখে ডেমোক্র্যাটদের একাংশও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত। আগামী চার বছর তিনি সুস্থভাবে সরকার চালাতে পারবেন না। ট্রাম্পের প্রচারের অন্যতম বিষয় হলো বাইডেনের বয়স এবং শারীরিক অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বাইডেনকে বার বার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি। ন্যাটো সম্মেলনের শেষ দিন সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বাইডেনকে। সেখানে তিনি বলেছেন, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। যে কাজ তিনি শুরু করেছেন, সে কাজ শেষ করতে হবে তাকে। নইলে যে আমেরিকার স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছেন, তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তিনি।
ন্যাটো সংবাদ সম্মেলন ছিল বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগ কাটানোর অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই মঞ্চেই জেলেনস্কিকে ‘পুতিন’, ভাইস প্রেসিডেন্টকে ‘ট্রাম্প’ সম্বোধন করে লেজেগোবরে করেছেন তিনি।