ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের চাশোতি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর হঠাৎ বন্যায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন। নিখোঁজ ২ শতাধিক। গতকাল স্থানীয় সময় বিকালের দিকে এ হড়পা বানের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। বন্যায় অনেক তীর্থযাত্রী আটকা পড়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা এরই মধ্যে অনেককে উদ্ধারও করেছেন।
এখন পর্যন্ত ৯৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৮ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
এই চাশোতি থেকেই শুরু হয় মচাইল মাতা যাত্রা। হিমালয়ের কোলে কিশতওয়ারের মাতা চণ্ডীর মণ্ডপে যেতে চাইলে চাশোতি পর্যন্তই সর্বশেষ মোটরগাড়িতে যাওয়া যায়। ‘কিশতওয়ারের চাশোতি এলাকায় হড়কা বান আঘাত হেনেছে, এটিই মচাইল মাতা যাত্রার শুরুর স্থান। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে, বলেছেন কিশতওয়ারের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ শর্মা। দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এনডিআরএফ তাদের উধমপুর ঘাঁটি থেকে ১৮০ জন উদ্ধারকর্মী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। কেন্ত্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, স্থানীয় বিধায়ক ও জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সুনীল কুমার শর্মার কাছ থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর পাওয়ার পরপরই ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। মেঘভাঙা বৃষ্টি এত বড় এলাকাজুড়ে হয়েছে যে হতাহতের পরিমাণ ব্যাপক হতে পারে।
আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, সবার মতো তারাও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। তারা ঘটনাস্থলের দিতে যাচ্ছে। শিগগিরই আমরা আরও জানতে পারব। সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। চিকিৎসা দরকার এমন ব্যক্তিদের হেলিকপ্টারে উদ্ধারেরও ব্যবস্থা করছে প্রশাসন, বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং; তিনি জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর থেকেই নির্বাচিত এমপি। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।