আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বিরোধী দলের প্রতি দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এমন অভিযোগ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের উপপরিচালক ভোনগাই চিক-ওয়ান-ডা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তা বাহিনী ব্ল্যাকআউটের সুযোগ নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে, যা প্রাণহানির ঘটনায় রূপ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভ দমন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবর্তে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সুরক্ষিত করতে হবে। গ্রেপ্তার হওয়া সবার নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। চলমান বিধিনিষেধের কারণে সঠিক তথ্য সরবরাহ ও নির্বাচন-সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন নথিভুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। -এএফপি
সংস্থাটি বলছে, গণমাধ্যমকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবাধে প্রতিবেদন করার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। যার মধ্যে দ্রুত ইন্টারনেট চালু করার কথাও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ আফ্রিকা গবেষক ওরিয়েম নাইকো বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভে তানজানিয়ার সরকারের সহিংস ও দমনমূলক পদক্ষেপ নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও ক্ষুণ্ন করেছে। তানজানিয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করেছেন সামিয়া সুলুহু হাসান। গত ৩ নভেম্বরের এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির বিরোধী নেতারা। কয়েকটি শক্তিশালী বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে নির্বাচনের আগে থেকেই বিক্ষোভ চলছিল। নির্বাচনের দিনও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দেশটির বিরোধী দল চাদেমার মুখপাত্র জন কিটোকা দাবি করেছেন, নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় প্রায় ৭০০ জন নিহত হয়েছেন।