পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রেখেই সুনামের সঙ্গে জুয়েলারি ব্যবসায় অবদান রেখে চলেছে আফতাব জুয়েলার্স। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার উত্তম ঘোষ বলেন, আমার বাবা গোপাল ঘোষ ১৯৭০ সালে রাজধানীর মৌচাক মার্কেটে স্বর্ণের গহনার ব্যবসা শুরু করেন। সততা, নিষ্ঠা আর একাগ্রতায় আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাবাকে। ক্রমেই বেড়েছে ব্যবসার পরিধি। ১৯ বছর পর মৌচাক মার্কেটে ১৯৮৯ সালে ডিসেন্ট জুয়েলার্স নামে আরও একটি শোরুম উদ্বোধন করেন বাবা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রুচিশীল ডিজাইনের গহনা বাজারজাত করায় সবার কাছে জনপ্রিয় আফতাব জুয়েলার্স।
উত্তম ঘোষ বলেন, বাবার দেখানো পথে হাঁটছি আমরা দুই ভাই। আমি ও আমার ভাই গৌতম ঘোষ বাবার প্রতিষ্ঠিত দুটি শোরুম সফলতার সঙ্গে পরিচালনার পাশাপাশি আফতাব জুয়েলার্স-২ নামে আরেকটি শোরুম চালু করেছি দেশের বৃহত্তম শপিং সেন্টার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এ ছাড়াও বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত যমুনা ফিউচার পার্কে রয়েছে আফতাব জুয়েলার্সের শোরুম। উত্তম ঘোষ বলেন, গুণগত মান অক্ষুণœ রাখার পাশাপাশি আফতাব জুয়েলার্স সততার সঙ্গে ব্যবসা করছে। সব সময় ক্রেতাদের রুচিসম্মত ডিজাইনের গহনা ও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা নকশায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। দেশেই আমরা স্থাপন করেছি সোনার গয়না পরীক্ষার আন্তর্জাতিক মানের টেস্ট ল্যাব ঢাকা গোল্ড। এর বাইরেও বিদেশ থেকে অনেক ডিজাইন নিয়ে আসি আমরা। সোনার পাশাপাশি আমাদের কাছে ক্রেতারা হীরার গহনাও পাবেন। মোটকথা ডিজাইনের বৈচিত্র্য, গুণ ও মানের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস না করার কারণেই ক্রেতারা আফতাব জুয়েলার্সকে এত বেশি বিশ্বাস করেন। সোনার গয়না হলমার্কিং প্রতিষ্ঠান ঢাকা গোল্ডের পরিচালক ও আফতাব জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী উত্তম ঘোষ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্ব দেশের জুয়েলারি শিল্পকে নতুন রূপ দিয়েছে। তৃতীয়বারের মতো আমরা বাজুস ফেয়ার এক্সপোর আয়োজন করতে চলেছি। স্বাধীনতার আগে থেকে আমরা ব্যবসা করলেও দীর্ঘ ৫০ বছরে আমরা এ ধরনের ফেয়ারের আয়োজন করতে পারিনি। দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আসার কারণে এক্সপো আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
