বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী ধারার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। নিউ ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ২০২৪-এর বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রমের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। পাশাপাশি তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চান।
শায়খ আহমাদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরদার উদয় রায়হান, ড. হাফিজ আশরাফুল হক (শাহবাজ), ড. মো. শরিফুল ইসলাম, জাওয়াদ ইবনে ফরিদ, মু. রেজাউল রাকিব, ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ মাসুদ, আরিফ চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। বিভিন্ন দুর্যোগে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমাদ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় অধ্যয়ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ আশরাফুল হক (শাহবাজ) বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দুর্যোগের পূর্বে দুর্গত অঞ্চলে ব্যাপকহারে সতর্কতামূলক ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারে। পাশাপাশি দুর্যোগের পর বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যাপকহারে সোলার প্যানেল বিতরণের পরামর্শ দেন তিনি। ড. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, অঞ্চলভেদে মানুষের বাড়িঘর নানা রকম। তাই পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে দুর্গতদের প্রয়োজন অনুযায়ী গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বন্যার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে জনসাধারণকে সচেতন করার পরামর্শ দেন।
ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বিশেষ কর্মী বাহিনী গড়ে তুলে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বন্যার পূর্বাভাস ঠিকমতো পৌঁছতে পারলে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি আট গুণ কমানো সম্ভব। এছাড়াও আলোচকগণ পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘরবাড়ি ও স্থাপনা তৈরির ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের মাধ্যমে দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার, বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, বন্যাপ্রবণ এলাকার কৃষকদের জন্য বিশেষ অ্যাপ তৈরির পরামর্শ দেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ