পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় নদীতে পড়ে গেছে একটি যাত্রীবাহি বাস। এ পর্যন্ত দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চার জনকে। কিন্তু যাত্রীবাহি বাসটি এখনও নদীর পানিতে ডুবে থাকার কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার দৌলতাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নদীয়া জেলার করিমপুর থেকে বহরমপুর যাওয়ার সময় ওই যাত্রীবাহি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে ভৈরব নদীতে পড়ে যায়। বাসটিতে ৫৬ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।দুর্ঘটনায় নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই আশপাশ থেকে নৌকা নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মাঝিরা। তারাই প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
চার জনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনার পরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দৌলতাবাদ। উদ্ধারকার্য দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ছুটে এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতেও। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে পুলিশও লাঠিচার্জ করে ও শূন্যে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার জন্য বাসটির চালকের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসারত যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ চালক মোবাইলে কথা বলার কারণেই অন্যমনস্ক হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাসটি রেলিং-এ ধাক্কা মারে।
যদিও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছে একটি ট্রাককে বাঁচাতেই ওই যাত্রীবাহি বাসটি পানিতে পড়ে যায়। তাছাড়া ওই সময় প্রচণ্ড কুশায়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে রওনা দিচ্ছেন পরিবহন মন্ত্রী ও পরিবহন সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নদী থেকে যাত্রীবাহি বাসটিকে উদ্ধার করতে বড় ক্রেন, ডুবুরিকে খবর দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা