শ্বশুরের লালসার শিকার থেকে নিজের সম্মান বাঁচাতে এক গৃহবধূ যা করলেন, তা সত্যিই ভয়ঙ্কর। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরে।
খবর অনুযায়ী, ১৫ জানুয়ারি শ্বশুরের লালসার হাত থেকে বাঁচার জন্য তাকে ধারল অস্ত্র দিয়ে খুন করলেন বর্ষা মাইতি নামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার রাত্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁকে ধর্ষন করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর শ্বশুর নিখিল মাইতি। তাই নিজের সম্মান বাঁচাতেই তাঁকে খুন করতে বাধ্য হন বর্ষা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করার পরেই প্রাণ হারান নিখিল মাইতি। ঘটনার জেরে যথেষ্ট ভয় পেয়ে যান বর্ষা। পরে তার স্বামী শুভ মাইতি বাড়িতে ফিরে এলে পুরো ঘটনার তাকে খুলে বলেন বর্ষা। মৃতদেহ সরিয়ে ফেলার জন্য দম্পতি করাত দিয়ে দেহ থেকে হাত পা কেটে আলাদা করে। তারপর বস্তায় ভরে তাদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাশকুড়া থানার পার্শ্ববর্তী আড়র গ্রামের খড়িবনের মাটিতে পুঁতে দেয়।
ঘটনার কিছুদিন পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি মাটি থেকে হাত-পা বেরিয়ে থাকতে দেখে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাশকুড়া থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তে নিখিলের পরিচয় জানতে পেরে তার ছেলে এবং তার স্ত্রীকে জেরা করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভয় পেয়ে গোটা ঘটনাটি স্বীকার করে দম্পতি।
সোমবার শুভ এবং বর্ষাকে গ্রেফতার করেছে পাশকুড়া থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের তমলুক আদালতেও তোলা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আদালতের রায় জানা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর