ভারতে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সংঘর্ষ বা গণপিটুনির নামে যে মানুষের প্রাণহানি ঘটছে এখনই তা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার রাতে রাজ্য সরকারির সচিবালয় ‘নবান্ন’ ত্যাগ করার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলায় গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের চারদিকে যেসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে তা সত্যিই ভয়ঙ্কর’।
তিনি বলেন, এটা ঠিক যে গরুকে আমরা মাতৃরূপে দেখে থাকি। কিন্তু কিছু হিন্দু তালিবান উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী সমাজের মধ্যে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটা যদি আমার রাজ্যেও হয় আমরা তাকে সমর্থন করবো না। রাজ্যের পুলিশ সাথে সাথে তার কঠোর পদক্ষেপ নেবে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এই গণপিটুনির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই এখনও কেন তাদের নিচু থেকে উপর তলার নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? কেবলমাত্র বিদ্বেষমূলক প্রচারণার কারণেই গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে’।
মমতার অভিমত, ভারত একটা বড় দেশ। এদেশে সকল জাতি, ভাষা, ধর্মের মানুষ বাস করেন। সেই কারণেই একে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলা হয়। কিন্তু এরাজ্যের মালদহের এক বাসিন্দা রাজস্থানে কাজে গিয়ে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মানুষের মধ্যে কিভাবে এই বিভাজন হতে পারে? কেবলমাত্র একজন হিন্দু, মুসলিম বা পাঞ্জাবী বলে তাকে হত্যা করতে হবে এটা ঠিক নয়। বিজেপি’র দিকে তোপ দেগে মমতার অভিযোগ তারা তালিবানদের মতো আচরণ করছে’।
মমতার প্রশ্ন ‘আমি হিন্দু, খ্রিষ্টান, মুসলিম, আদিবাসী সবাইকে সম্মান জানাতে পারলে ওরা কেন তা করতে পারছে না, তারা কেন প্রত্যেকটি জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে’।
গত সপ্তাহে মেদিনীপুরে মোদির সভায় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ওরা একটা প্যান্ডেল বানাতে পারে না তবে একটা দেশ চালাবে কি করে?’।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল