শিরোনাম
- ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় রিমান্ডে আনিসুল হক
- লক্ষ্মীপুরে মাদক ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লালকার্ড দেখাল শুভসংঘের শিক্ষার্থীরা
- ফ্রান্সের জাদুঘর থেকে ৯৫ লাখ ইউরোর চীনামাটির বাসন চুরি
- নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬৩
- গাইবান্ধায় ‘কষ্টি’ পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
- ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে রাশিয়ার ‘ভেটো’ ক্ষমতা নেই: ন্যাটো প্রধান
- আলীকদমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- স্বৈরাচারী শাসনের অন্ধকারে ফিরতে চাই না: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিজভী
- চীনে বসেই ইউক্রেনকে নতুন হুমকি পুতিনের
- হবিগঞ্জে রেলওয়ে পুলিশের চার সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
- ইন্দোনেশিয়ায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ফের বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- যশোরে স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- নির্বাচনে কোনো অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না : ইসি মাছউদ
- আফগানিস্তানে ১০৫ টন মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে পাকিস্তান
- এবার আর দিনের ভোট রাতে হবে না : জয়নুল আবদিন ফারুক
- গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ৯ সেপ্টেম্বর
- লালমনিরহাটে বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন
- যারা নির্বাচনে আসতে চায় না তারা হাসিনার সুরেই কথা বলছে : আমীর খসরু
ভারতে লকডাউনে ভিসার মেয়াদ শেষ, সীমান্তে আটকে ৫ বাংলাদেশি
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

লকডাউনের জেরে ভারতে আটকে পড়েছিলেন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। সঙ্গে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও, দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে। ফলে সীমান্তে পৌঁছলেও দেশে ফেরার অনুমতি মিলছে না। বিপাকে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে হরিয়ানায় যান পাঁচজন। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন। টানা এক সপ্তাহ ধরে বাসে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য হয়ে শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছান। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি অনুমতি। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে অন্তত মাসখানেক আগে। এই পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে হলে এখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন বলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন।
তাই যতদিন পর্যন্ত না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি আসছে, ততদিন তাদের ফুলবাড়িতেই আটকে থাকতে হবে। অথচ কারও পকেটে হোটেলে থাকার মতো টাকা নেই। ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে বসার জায়গায় ঠাঁই নিয়েছেন তারা। ওই দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিকদের তো দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু যাদের দেশে ফেরার তারিখ শেষ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’
এই পাঁচ বাংলাদেশি আসরাফ আলি, মো. তৌসিমউদ্দিন, মো. এরশাদ, মো. কাসিম এবং মো. রব্বানির বাড়ি বাংলাদেশের বালিয়াডাঙি জেলায়। ১ ফেব্রুয়ারি আসরাফ আলি এসেছিলেন ভারতে। ১ মে’র আগে তার দেশে ফেরার কথা ভিসায় বলা হয়েছিল। ভারতে এসে সোজা হরিয়ানায় চলে যান এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তখন ভারতে করোনা নিয়ে তেমন কোনও শোরগোল নেই। ইতিমধ্যে লকডাউন শুরু হলে তিনি আটকা পড়ে যান। বিপাকে পড়ে যান তার আত্মীয়ও। বাধ্য হয়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে নিতে বাধ্য হন। সেখানেও পকেটে টান পড়লে তিনি দেশে ফেরার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেন। ইতিমধ্যে লকডাউন উঠে গেলে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেন। সেখানে সুবিধা করতে না-পেরে বাসে রওনা হন। হরিয়ানা থেকে দিল্লি। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, সেখান থেকে বিহার হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত কলকাতা থেকে এদিন সকালে তিনি ফুলবাড়িতে পৌঁছান।
আসরাফের সঙ্গীরাও উত্তর ভারতেই ছিলেন। ফেরার পথে একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। মো. রব্বানি বলেছেন, ‘রাস্তায় কাউকে চিনি না। ভাষা বুঝি না। দেশের লোকজন পেয়ে ঠিক করি, একসঙ্গে দেশে ফিরব। কিন্তু ভিসার তারিখ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেকুব হয়ে গেছি।’ তাদের প্রশ্ন, ‘বৈধ ভাবেই আমরা এ দেশে এসেছি। লকডাউনও আমরা ঘোষণা করিনি। তাহলে আমাদের কেন ভুগতে হবে?’ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা;রে সাফ কথা, ‘বিদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হবে। এই পাঁচ বাংলাদেশির ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
সূত্র : এই সময়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর