শিরোনাম
- ২০২৬ নারী বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর নাম ঘোষণা
- শুল্কনীতির প্রভাবে মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত, বাইডেনকে দুষলেন ট্রাম্প
- চুয়াডাঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত
- ‘বিএনপি অতীতের সকল সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’
- সোনারগাঁয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- শ্রম-শ্রমিক এই দুইয়ের উপরেই আজকের আধুনিক সভ্যতা
- শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি: দুলু
- চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- বিশ্বে প্রথমবার দুই রোবটের বক্সিং ম্যাচ
- নোয়াখালীতে গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে শ্রমিক দিবস পালিত
- বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা
- বসুন্ধরা শুভসংঘ আইইউবিএটি শাখার আয়োজনে ডে লং ট্যুর ও নতুন কমিটি
- শরীর ঠাণ্ডা রাখবে মাটির পাত্রের পানি
- প্রতিদিন ব্রকলি খেলে যেসব উপকার
- চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শিশুর মৃত্যু
- খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে মে দিবস পালিত
- গোপালগঞ্জে সেফটি দিবস পালিত
- মানিকগঞ্জে মহান মে দিবস পালিত
- নির্বাচিত সরকার না থাকায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে : রিজভী
- পেকুয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২০
ভারতে লকডাউনে ভিসার মেয়াদ শেষ, সীমান্তে আটকে ৫ বাংলাদেশি
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

লকডাউনের জেরে ভারতে আটকে পড়েছিলেন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। সঙ্গে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও, দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে। ফলে সীমান্তে পৌঁছলেও দেশে ফেরার অনুমতি মিলছে না। বিপাকে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে হরিয়ানায় যান পাঁচজন। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন। টানা এক সপ্তাহ ধরে বাসে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য হয়ে শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছান। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি অনুমতি। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে অন্তত মাসখানেক আগে। এই পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে হলে এখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন বলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন।
তাই যতদিন পর্যন্ত না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি আসছে, ততদিন তাদের ফুলবাড়িতেই আটকে থাকতে হবে। অথচ কারও পকেটে হোটেলে থাকার মতো টাকা নেই। ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে বসার জায়গায় ঠাঁই নিয়েছেন তারা। ওই দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিকদের তো দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু যাদের দেশে ফেরার তারিখ শেষ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’
এই পাঁচ বাংলাদেশি আসরাফ আলি, মো. তৌসিমউদ্দিন, মো. এরশাদ, মো. কাসিম এবং মো. রব্বানির বাড়ি বাংলাদেশের বালিয়াডাঙি জেলায়। ১ ফেব্রুয়ারি আসরাফ আলি এসেছিলেন ভারতে। ১ মে’র আগে তার দেশে ফেরার কথা ভিসায় বলা হয়েছিল। ভারতে এসে সোজা হরিয়ানায় চলে যান এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তখন ভারতে করোনা নিয়ে তেমন কোনও শোরগোল নেই। ইতিমধ্যে লকডাউন শুরু হলে তিনি আটকা পড়ে যান। বিপাকে পড়ে যান তার আত্মীয়ও। বাধ্য হয়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে নিতে বাধ্য হন। সেখানেও পকেটে টান পড়লে তিনি দেশে ফেরার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেন। ইতিমধ্যে লকডাউন উঠে গেলে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেন। সেখানে সুবিধা করতে না-পেরে বাসে রওনা হন। হরিয়ানা থেকে দিল্লি। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, সেখান থেকে বিহার হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত কলকাতা থেকে এদিন সকালে তিনি ফুলবাড়িতে পৌঁছান।
আসরাফের সঙ্গীরাও উত্তর ভারতেই ছিলেন। ফেরার পথে একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। মো. রব্বানি বলেছেন, ‘রাস্তায় কাউকে চিনি না। ভাষা বুঝি না। দেশের লোকজন পেয়ে ঠিক করি, একসঙ্গে দেশে ফিরব। কিন্তু ভিসার তারিখ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেকুব হয়ে গেছি।’ তাদের প্রশ্ন, ‘বৈধ ভাবেই আমরা এ দেশে এসেছি। লকডাউনও আমরা ঘোষণা করিনি। তাহলে আমাদের কেন ভুগতে হবে?’ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা;রে সাফ কথা, ‘বিদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হবে। এই পাঁচ বাংলাদেশির ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
সূত্র : এই সময়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর