শিরোনাম
- বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
- টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
- অক্টোবরে এলো ৩১ হাজার ২১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
- ডিগ্রী পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২
- একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : দুলু
- সুশাসন চাইলে সৎ ও যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- ১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
- সিলেট সীমান্তে বিএসএফ’র অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের প্রতিরোধ
- মহাসড়কে বাইক প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল তরুণের
- পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- সাতক্ষীরায় পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দুই মাসের কারাদণ্ড
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- রূপগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
- রং মেশানো ডাল আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- গাজীপুরে রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- সিলেটের শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- খিলগাঁওয়ে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার
ভারতে লকডাউনে ভিসার মেয়াদ শেষ, সীমান্তে আটকে ৫ বাংলাদেশি
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
লকডাউনের জেরে ভারতে আটকে পড়েছিলেন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। সঙ্গে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও, দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে। ফলে সীমান্তে পৌঁছলেও দেশে ফেরার অনুমতি মিলছে না। বিপাকে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে হরিয়ানায় যান পাঁচজন। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন। টানা এক সপ্তাহ ধরে বাসে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য হয়ে শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছান। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি অনুমতি। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকলেও দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেছে অন্তত মাসখানেক আগে। এই পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে হলে এখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন বলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন।
তাই যতদিন পর্যন্ত না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি আসছে, ততদিন তাদের ফুলবাড়িতেই আটকে থাকতে হবে। অথচ কারও পকেটে হোটেলে থাকার মতো টাকা নেই। ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে বসার জায়গায় ঠাঁই নিয়েছেন তারা। ওই দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিকদের তো দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু যাদের দেশে ফেরার তারিখ শেষ হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই।’
এই পাঁচ বাংলাদেশি আসরাফ আলি, মো. তৌসিমউদ্দিন, মো. এরশাদ, মো. কাসিম এবং মো. রব্বানির বাড়ি বাংলাদেশের বালিয়াডাঙি জেলায়। ১ ফেব্রুয়ারি আসরাফ আলি এসেছিলেন ভারতে। ১ মে’র আগে তার দেশে ফেরার কথা ভিসায় বলা হয়েছিল। ভারতে এসে সোজা হরিয়ানায় চলে যান এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তখন ভারতে করোনা নিয়ে তেমন কোনও শোরগোল নেই। ইতিমধ্যে লকডাউন শুরু হলে তিনি আটকা পড়ে যান। বিপাকে পড়ে যান তার আত্মীয়ও। বাধ্য হয়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে নিতে বাধ্য হন। সেখানেও পকেটে টান পড়লে তিনি দেশে ফেরার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেন। ইতিমধ্যে লকডাউন উঠে গেলে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করেন। সেখানে সুবিধা করতে না-পেরে বাসে রওনা হন। হরিয়ানা থেকে দিল্লি। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, সেখান থেকে বিহার হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত কলকাতা থেকে এদিন সকালে তিনি ফুলবাড়িতে পৌঁছান।
আসরাফের সঙ্গীরাও উত্তর ভারতেই ছিলেন। ফেরার পথে একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। মো. রব্বানি বলেছেন, ‘রাস্তায় কাউকে চিনি না। ভাষা বুঝি না। দেশের লোকজন পেয়ে ঠিক করি, একসঙ্গে দেশে ফিরব। কিন্তু ভিসার তারিখ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেকুব হয়ে গেছি।’ তাদের প্রশ্ন, ‘বৈধ ভাবেই আমরা এ দেশে এসেছি। লকডাউনও আমরা ঘোষণা করিনি। তাহলে আমাদের কেন ভুগতে হবে?’ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা;রে সাফ কথা, ‘বিদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হবে। এই পাঁচ বাংলাদেশির ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
সূত্র : এই সময়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর