শিরোনাম
৯ জুলাই, ২০২০ ২২:২৮

পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, কনটেনমেন্ট জোনে ফের লকডাউন শুরু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, কনটেনমেন্ট জোনে ফের লকডাউন শুরু

ক্রমশই খারাপ হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি। বুধবার রাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া শেষ মেডিকেল বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৮২৩। মৃতের সংখ্যা ৮২৭। এ নিয়ে পরপর চারদিন ধরে রাজ্যে একদিনে ৮০০ এর বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেবলমাত্র বুধবারই ৯৮৬ জন নতুন করোনা রোগী মিলেছে- যা চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। 

রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছে করোনা রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে। বুধবার পর্যন্ত করোনার সাথে লড়াই করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬,২৯১ জন।   

কলকাতার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, মালদাতে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছে কলকাতার পরিস্থিতি। যত দিন যাচ্ছে ততই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চে ভারতজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন পর্ব। এরপর ধাপে ধাপে বেশ কিছুটা শিথিলতাও আনা হয়। কিন্তু তারপরও করেনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে কলকাতাসহ রাজ্যটির একাধিক জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এমন অবস্থায় এই বর্ধিত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব কনটেনমেন্ট জোনে শুরু হল আরও কড়া লকডাউন। এদিন বিকাল ৫টা থেকে আগামী সাত দিনের জন্য প্রত্যেকটি কনটেনমেন্ট জোনেই কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। এদিন বিকাল থেকেই প্রতিটি কনমেন্টজোনগুলোকে অস্থায়ী ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে, একাধিক জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে চালানো হয়েছে মাইকিং। 
নতুন কনটেনমেন্ট জোনে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনে আপাতত কোন যানবাহন চলাচল করবে না। জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকান, বাজার। বন্ধ থাকবে কারখানা, শপিং মল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যে কোন ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের তরফেই কনটেনমেন্ট জোনে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থ করবে। 

তবে লকডাউনের খবর শুনেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর তা থেকেই সকাল থেকে দোকান-বাজারগুলোতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব ভুলে যে যতটা পেরেছেন, জিনিসপত্র ততটা মজুদ করেছেন আগামী দিনের জন্য।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর