২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:২৮

৮ সাংসদের সাসপেন্ড 'দুর্ভাগ্যজনক', লড়াইয়ের ডাক মমতার

অনলাইন ডেস্ক

৮ সাংসদের সাসপেন্ড 'দুর্ভাগ্যজনক', লড়াইয়ের ডাক মমতার

ফাইল ছবি

ভারতের সংসদে (রাজ্যসভা) কৃষি বিল পাশ করানোর প্রতিবাদ ও সংসদে বিশৃঙ্খলতার অভিযোগে দুই তৃণমূল কংগ্রেসসহ ৮ জন সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। ওই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। পাশাপাশি সংসদ ও রাস্তায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিলেন মমতা। 

সোমবার টুইট করে তিনি জানান, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে লড়াই করা ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’। গোটা ব্যাপারটাই সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়। এরা গণতান্ত্রিক রীতি নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করবো না। সংসদেও আঙিনায় ও রাস্তায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

টুইটের পর বিকালেই নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। এই ঘটনার আন্দোলনের ডাকও দেন তিনি। 
এদিন বিকালে নবান্নে সংবাদ বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ও রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের নারী শাখার নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসানোর। দলের ছাত্র সংগঠন এবং ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে।

রবিবারের ঘটনাকে ‘কালো রবিবার’ আখ্যা দিয়ে এদিন মমতা বলেন, এরা ইতিহাস মানে না, সংবিধান মানে না। যা ইচ্ছে তাই করছে। কেন্দ্রীয় সরকার গায়ের জোরে, কৃষকদের বুলডোজ করে, কৃষক ও ক্ষেতমজদুরদের সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কয়েকটি ভুঁইফোঁড় জোতদারদের হাতে সব ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছে। এতে গরীব চাষীরা কেউ অভাবে সর্বস্ব বিক্রি করে দেবে, কেউ আত্মহত্যা করবে, কেউ না খেতে পেয়ে মারা যাবে। এর ফলে সারা ভারতের দুর্দিন আসন্ন।

মমতার অভিমত, একদিকে দেশজুড়ে করোনা অতিমারী চলছে অন্যদিকে বিজেপির এই বুলডোজ করা কৃষি বিল। তারা অতিমারী ঠেকাতে পারলো না, তার ওপর খাদ্য দুঃর্ভিক্ষ নিয়ে আসলো। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা রাজ্যের সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে গায়ের জোরে যা ইচ্ছে তাই করছে। কিন্তু সংখাগরিষ্ঠতা থাকলেই দেশকে বিক্রি করা, লুঠ করা বা গণতন্ত্রকে হত্যা করা বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করা যায় না।

মমতার অভিমত, বিজেপি দেশের লজ্জা। হিটলারি কায়দায় গোটা দেশ চলছে, ফ্যাসিজম কায়দায় দেশ চলছে। কেউ প্রতিবাদ, করলে তাকে দাঙ্গায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিদায় দেওয়ার ডাক দিয়ে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, এই বিজেপির সরকার, আর নেই দরকার। এই বিজেপির সরকার, বিদায় নেওয়া দরকার। এই বিজেপির সরকার, লজ্জার সরকার। বিজেপির সরকার-ছিঃ ছিঃ সরকার।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর