অতি উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ মর্যাদার সাথে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস ২০২০। ১৯৭১ সালে বিদেশের মাটিতে প্রথম কূটনৈতিক মিশন স্থাপিত হয় এই কলকাতায়। আর সেখানে বুধবার সকাল ৮টায় উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’-এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। তারপর এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনস্থ ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন এ উপ-হাইকমিশন মসজিদের ইমাম।
১৬-১৭ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপি মহান বিজয় উৎসবের উদ্বোধনী বক্তৃতায় উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতা, ফলে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসে এই মিশনে বিজয় উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম কার্যালয়ও এই মিশনটি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়ার পর ১৮ এপ্রিল কলকাতা মিশনে প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়।
‘বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব-২০২০’ এ প্রতিদিনই কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। বিজয় দিবসের প্রথম দিন বুধবার আবৃত্তি পরিবেশন করেন শুভদীপ চক্রবর্তী, চিরন্তন বন্ধোপাধ্যায় ও রোজী ঘোষ দে। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমিতা ভট্টাচার্য ও তার দল। এরপর বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শমীক পাল চমৎকার গান পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করবেন প্রণতি ঠাকুর ও সৌমিত্র ঘোষ। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রুপঙ্কর বাগচী ও শতাব্দী রায়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা