আকস্মিক দুর্ঘটনায় আঘাতের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকটি কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে মমতাকে। এদিকে, উত্তেজনা এখন চরমে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা গত বুধবার মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে নমিনেশন পেপার জমা দেয়ার পর প্রচারে থাকার সময় পায়ের পাতায় চোট পান। প্রতিপক্ষের হামলায় এমনটা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে এ ঘটনায় গঠিত নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবারের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই সদস্যের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।
স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি তাদের প্রতিবেদনটি শনিবার কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি ওইদিন দুর্ঘটনাবশত আঘাত পেয়েছিলেন।
এর আগে শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিল্লিতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়, প্রতিপক্ষের ধাক্কাধাক্কির কারণে গাড়ির দরজায় পা চাপা পড়ে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী। একই অভিযোগ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসক বিভু গোয়েল। তবে তিনি হামলার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন।
অভিযোগে নন্দীগ্রামের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতারা। পরবর্তীতে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এদিকে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মমতার ঘোরাফেরা সবই আপাতত হুইল চেয়ারে। বন্দোবস্ত করা হয়েছে দু’টি হুইল চেয়ারের। একটি তার গাড়ির ‘সিট’ খুলে সেখানে বসানো হবে। ওই হুইল চেয়ারেই তিনি ঢালু পথ বেয়ে উঠবেন বিমানে। মঞ্চে ওঠার জন্য একইভাবে থাকবে ঢালু পথ। হুইল চেয়ারে বসে বক্তৃতা করবেন মমতা। নির্বাচনী সফরের সময় বিভিন্ন জেলায় যে সব হোটেল বা গেস্ট হাউসে তিনি রাত্রিবাস করবেন, সেখানেও প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে তার থাকার ঘরটি অপ্রশস্ত। সেই ঘরেই একটি হুইলচেয়ার তার শয্যার সমান উচ্চতায় রাখা হয়েছে যাতে চেয়ার থেকে খাটে ওঠা একটু সহজ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার