১৬ জুন, ২০২১ ১৪:২৬

বৈশাখীর সঙ্গে ‘সংসার’ পাততেই শোভনকে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যেতে বলল রত্নার পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

বৈশাখীর সঙ্গে ‘সংসার’ পাততেই শোভনকে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যেতে বলল রত্নার পরিবার

শোভন চট্টোপাধ্যায়

বেহালার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন অনেক আগেই। বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জিকে নিয়ে বর্তমানে রয়েছেন গোলপার্কের ফ্ল্যাটে। সেই বাড়ি নিয়েই নতুন করে জটিলতা তৈরি হল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। তাকে ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে বলে চিঠি দিলেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও শোভনকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালে বেহালার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শোভন। এসে ওঠেন গোলপার্কের ১৩৫, মেঘনাদ সাহা সরণির একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে। সে বছর জুলাই থেকে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি। স্ত্রী রত্নার সঙ্গে এখনও আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয়নি শোভনের। কিন্তু গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে বৈশাখীর সঙ্গে ‘সংসার’ পেতেছেন শোভন, সেই ফ্ল্যাটের মালিক আসলে রত্নার ভাই দেবাশিস দাস। বেশ কয়েক বছর আগে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে তার। শোভন ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করার পরই রত্না দাবি করেছিলেন, ফ্ল্যাটটি আসলে শোভনের শ্যালকের নামে। ফলে শোভনের কোনও আইনি অধিকারই নেই ওই ফ্ল্যাটে থাকার। অর্থাৎ প্রকারান্তরে বলেছিলেন- শোভন ফ্ল্যাটটি ‘দখল’ করে রেখেছেন। একবার সন্তানদের নিয়ে সেই ফ্ল্যাটের নিচে অবস্থানও নিয়েছিলেন রত্না। তবে সেই সময় বিষয়টি আর বেশি এগোয়নি।

শোভন-বৈশাখী সম্পর্ক যত গড়িয়েছে, ততই তিক্ত হয়েছে শোভন-রত্না সম্পর্কও। তার সর্বশেষ উদাহরণ দেখা গিয়েছে শোভন নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর। অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শোভন হাসপাতালের সুপারকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, রত্না বা তার পুত্রকে যেন তার আশেপাশে আসতে না দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, এবার রত্নার পরিবারও নতুন করে ‘প্রত্যাঘাত’ শুরু করেছে।

নারদ-কাণ্ডে শোভন গ্রেফতার হন ১৭ মে। ২২ মে তিনি জামিন পেয়ে হাসপাতাল থেকে গোলপার্কের বাড়িতে ফেরেন। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, তার আগেই ওই ফ্ল্যাট নিয়ে দু’পক্ষের চাপানউতর শুরু হয়েছিল। 

গত ১১ জুন শোভনকে ওই ফ্ল্যাট নিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন রত্নার বাবা তথা মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাস। তার ছোট ছেলে (শোভনের ছোট শ্যালক) শুভাশিসের সংস্থা ‘স্টার মার্ক কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মাধ্যমে শোভনকে আইনি নোটিশ দেন দুলাল।

তার পাল্টা আবার দুলালকে একটি চিঠি দেন শোভন-বৈশাখী। তাতে তারা পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘রত্না কোন অধিকারে বেহালার বাড়ি আটকে রেখেছেন?’ সাত দিনের মধ্যে দুলালের কাছ থেকে জবাবও চেয়ে পাঠান তারা। জবাব জানিয়ে দুলাল ফের শোভনকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারপর শোভন-বৈশাখীর পক্ষ থেকে আর কিছু জানানো হয়নি বলেই দুলালের দাবি। সে কারণেই সম্প্রতি আবার শোভনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন দুলাল। সেই চিঠিতে তাকে সাত দিনের মধ্যে গোলপার্কের ফ্ল্যাটটি খালি করে দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডিজিটালের পক্ষ থেকে বুধবার এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে দুলাল বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যেই চিঠির জবাব দিয়েছিলাম। আমরা এরপর থেকে আইনি পথেই চলব।”

এ নিয়ে শোভন-বৈশাখীর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে শোভনও জানিয়েছিলেন, তিনিও আইনি পথেই চলবেন। সূত্র: আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর