গত মার্চ-এপ্রিল মাসে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পর এই প্রথম রদবদল ঘটলো মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রিসভায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি এবার থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ও দেখবেন মমতা। সেক্ষেত্রে অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর পাশপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন চন্দ্রিমা। 

রাজ্যের সাবেক অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। কিন্তু তার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই গত মে মাসে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভায় অমিত মিত্রকেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১০ মে তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী ছয় মাস ওই পদে থাকতে পারেন এবং আজই সেই ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে সেই জায়গায় অর্থ দফতর নিজের হাতেই রেখে দেন মমতা। 

এর পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী হলেন পুলক রায়। পুলক রায় বর্তমানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এবার তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হল। জনস্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। তিনি বর্তমানে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী, তাই তার হাতেও এল অতিরিক্ত দায়িত্ব।

অন্যদিকে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে, বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে মুম্বাইয়ের একটি হাসাতালে। সেক্ষেত্রে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুইঞাকে। এটি তার অতিরিক্ত দায়িত্ব।  

আবার অমিত মিত্র’এর হাতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি তার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এই দায়িত্ব সামলাবেন। বর্তমানে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে দেওয়া হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। 

মঙ্গলবার এই রাজ্য সরকারের তরফে এই রদবদলের কথা ঘোষণা করা হয়। তবে এ দিনের মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন কোন মুখকে অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি। শুধুমাত্র দায়িত্ব রদবদল করা হল মাত্র। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল