জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপ-দূতাবাসের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর তার জীবনের উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দূরদর্শন কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক শ্রী অভিজিৎ দাশগুপ্ত। শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কোর্সমেট মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান।
এ ছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন মিজ সানজিদা জেসমিন, হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক)।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, শেখ কামাল ছিলেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্যতম কারিগর। স্বাধীন দেশে প্রগতিশীল নানা কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হলেও তার মধ্যে কোন অহমিকা বোধ ছিল না। তিনি ছিলেন মার্জিত, বিনয়ী, বন্ধুবৎসল ও পরোপকারী। নবসৃষ্ট বাংলাদেশের তরুণ সমাজের বিকাশে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার উদ্বুদ্ধকরণে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বিশিষ্ট সাংবাদিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘শেখ কামাল আমাদের কাছে হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে তারুণ্যের প্রতীক। মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তার।’
সবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর