ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বার্ষিক বেতন ১৫ কোটি রুপি। কিন্তু গত বছরের মত এ বছরও তিনি বেতন নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনা অতিমারির পরিস্থিতির জন্য টানা দুই বছর কোন বেতন নেননি বিশ্বের অন্যতম এই ধনকুবের। বেতন, ভাতা, কমিশন মিলিয়ে তার পাওনা সব রুপিই তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।
করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ২০২০ সালের জুনে মাসে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল ‘ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরস মুকেশ আম্বানি স্বেচ্ছায় বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ করোনা সংক্রমনের ফলে ভারতের সামাজিক, আর্থিক ও শিল্পের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়েছে। বোর্ড অব ডিরেক্টরসকে চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন করোনার প্রভাব না কমা পর্যন্ত তিনি বেতন নেবেন না।’
সেই মতো ২০২০-২১ অর্থবছরে এক রুপিও সংস্থার কাছ থেকে নেননি আম্বানি। রিলায়েন্সের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আম্বানি ২০২১-২২ সালেও তার বেতন ছেড়ে দিয়েছেন। এ বছর তার বেতনের খাত শূন্য।
২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে বার্ষিক ১৫ কোটি রুপি বেতন নিয়ে আসছেন মুকেশ আম্বানি। সে থেকে গত ১১ বছর ধরে তার বেতন ১৫ কোটি রয়ে গেছে।
আম্বানির চাচাতো ভাই তথা সংস্থার স্থায়ী ডিরেক্টর নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতল মিসওয়ালী ২৪ কোটি রুপি বেতন পান। এর সঙ্গে কমিশন বাবদ ছিল ১৭. ২৮ কোটি রুপি।
মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানি সংস্থার নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হলেও পাঁচ লক্ষ রুপি সিটিং ফিজ নিয়েছেন, সেই সঙ্গে বার্ষিক ২ কোটি রুপি কমিশন। গত বছর নীতা সিটিং ফিজ পেয়েছিলেন ৮ লক্ষ রুপি, কমিশন ছিল ১.৬৫ কোটি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল