২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৩

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু দক্ষিণাঞ্চল, ১০ জনের মৃত্যু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু দক্ষিণাঞ্চল, ১০ জনের মৃত্যু

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু। এখনো পর্যন্ত বৃষ্টিজনিত কারণে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত তিনদিনের বর্ষণে রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলে স্তব্ধ জনজীবন। ঘরবন্দি কয়েক হাজার মানুষ। একাধিক জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

গত শুক্রবার থেকে রাজ্যটির তিরুনেলভেলি, তেনকাশী, তুতিকোরিন, কন্যাকুমারী এবং থুথুকুড়ি জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। 

ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিরুনেলভেলি, তেনকাশী জেলায় সমস্ত স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে দেখা গেছে প্রায় এক তলা সমান বাড়ি পানির তলায়। 

রাজ্যটির মুখ্য সচিব শিব দাস মিনা জানিয়েছেন, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তাকেও ছাপিয়ে গেছে। গত তিনদিনের বৃষ্টিতে তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিন জেলা মিলিয়ে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে দেওয়াল চাপা পড়ে, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে চারজনের, দুইজনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। 

তিনি আরও জানান, রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিশেষ করে তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিন জেলায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে ওই দুই জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

অত্যাধিক বর্ষণের ফলে এই জেলাগুলোতে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। ইতিমধ্যেই দুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। 

এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে উপযুক্ত ত্রাণ তহবিল ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন স্ট্যালিন। 

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য গত ১০০ বছরেও রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কারণে এমন ক্ষয়-ক্ষতি দেখা যায়নি। 

সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের আট মন্ত্রী এবং দশ জন আইএএস কর্মকর্তাকে ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজে পাঠানো হয়েছে। অন্য এজেন্সি গুলোর সাথে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দলের ১৫টি টিম এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দলের ১০টি টিম দুর্গত এলাকায় কাজ করছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে বারো হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের ১৪৩টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে খাবার বিতরণ চলছে। আমার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য সচিবও সব সময় গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর