অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে জয়পুরহাটের চকশ্যাম গ্রামে নদীতীরবর্তী কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলন। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, হাইকোর্টের নির্দেশনা, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি যেন প্রশাসনের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে না। বালুভর্তি ট্রাক্টরের সামনে শুয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না আবাদি জমি। বন্যা এলেই বিলীন হয়ে যাবে পুরো গ্রাম- এ আশঙ্কায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ছোট যমুনা তীরবর্তী কৃষিজমিতে বালু উত্তোলন। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে চকশ্যাম গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রানা, কমর উদ্দিনের ছেলে মাবুদ, ধলু মিয়ার ছেলে হান্নান, সনো মণ্ডলের ছেলে আবু হোসেন, বেলাল মণ্ডলের জামাতা মালেক হোসেন, ঘাসুরিয়া গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে এনামুল ও বাবুর নেতৃত্বে শুরু হয় বালু উত্তোলন। কেনা আবাদি জমি থেকে ৩-৪ ফুট গভীর করে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও ১৫-২০ ফুট গভীর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পাশের জমিও ভাঙনের শিকার হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে পাশের জমিও। এভাবে ওই গ্রামের নামা বুচিরভিটা, শ্মশানঘাট এলাকার ৩ শতাধিক একর জমিতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের প্রায় শতাধিক একর আবাদি জমি ফসলসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যা এলেই ভেঙে পড়বে এসব জমি, বিলীন হয়ে যাবে গ্রামটি। বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর জয়পুরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাশরুফা ফেরদৌসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুভর্তি ট্রাক্টর আটক ও তিন বালু ব্যবসায়ীর নামে সদর থানায় মামলা করা হলেও পরে ট্রাকটি থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন প্রভাবশালীরা। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। এ অবস্থায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও পুরোদমে শুরু হয়েছে বালু উত্তোলন। গ্রামবাসীর পক্ষে আবু রায়হানসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও লাভ হয়নি। এ ছাড়া গ্রামের মোশাররফের ছেলে এনামুল এ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিলেও তা লিপিবদ্ধ হয়নি। অভিযোগকারীর একজন নুরুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, জয়পুরহাটের প্রশাসকের সঙ্গে পরপর দুই দিন দেখা করতে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। সর্বক্ষণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নীরবতায় এলাকাবাসীর ধারণা, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা লাভবান হওয়ায় এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল ইসলাম তাদের আশ্বস্ত করেছেন, বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বালু উত্তোলনকারী রানা নামের একজন জানান, তারা বৈধভাবে জমি কিনে বালু উত্তোলন করছেন। আর এ উত্তোলনের ফলে যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে অনেকে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। জয়পুরহাট পৌর মেয়র আবদুল আজিজ মোল্লা জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। তবুও বন্ধ করা যাচ্ছে না বালু উত্তোলন।
শিরোনাম
- উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
- ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
- দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
- টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
- ১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
- মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
- ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
- রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান
- কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর
- সিলেটে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভে গাড়ি ভাঙচুর
- টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
- পর্তুগাল-স্পেনে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
- জুলাই শহীদের তালিকায় আরও ১০ শহীদের নাম
- ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি
আবাদি জমি থেকে বালু উত্তোলন হুমকিতে পুরো গ্রাম
মাজেদ রহমান, জয়পুরহাট
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর