প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা ও কুড়িগ্রামে দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় সমন জারি করা হয়েছে। দুই মামলায় একই দিনে আদালতে উপস্থিতির আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (সিএমএম) বাদী অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিনের দায়ের করা ৯৭৪/২০১৪ নং মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে আগামী ৯ নভেম্বর সশরীরে উপস্থিতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় ইসলাম ধর্মের অবমাননা, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সংখ্যালঘু নির্যাতনে উসকানি ও দেশের সাধারণ নির্বাচনকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও একই পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মজিদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন। দণ্ডবিধি ২৯৫/২৯৮ ধারায় করা মামলায় আদালত সমন জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, আগামী ৯ নভেম্বর বিবাদীদেরকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদী সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রথম আলো পত্রিকায় ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে আলপিন ও ২০১৩ সালে রসআলোতে মহানবী (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রচার করা হয়েছে। এই পত্রিকায় সুরা লোকমানের ২৭ নং আয়াতের অর্থও বিকৃত করে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো একজন মুসলমান হিসেবে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নির্বাচনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিন্দু নারী ভোটারের লাল টিপ সংবলিত ছবি প্রকাশ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের উসকানি দেওয়া হয়েছে। এই পত্রিকার বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেশের সাধারণ নির্বাচনকেও ব্যঙ্গ করা হয়েছে। পুরনো এই ইস্যুগুলোতে এখন কেন মামলা জানতে চাইলে বাদী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে জ্ঞাত ছিলাম না। বুধবার সেগুলো হাতে পেয়েই গতকাল নাগরিক হিসেবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।