বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার বাংলাদেশেই তৈরি হবে মোটরসাইকেল

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

এবার বাংলাদেশেই তৈরি হবে মোটরসাইকেল

আর নয় বিদেশি মোটরসাইকেল। দেশের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াবে এবার দেশে তৈরি মোটরসাইকেল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শিল্প বিকাশ ও বিপণন পরিবেশ সৃজনে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করবে। জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের  নির্বাহী কমিটি দেশে মোটরসাইকেল নির্মাণ শিল্প স্থাপনের এ উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সম্প্রতি কমিটির এক বৈঠকে বলেন, শিল্পায়নে দেশ দ্রুত উন্নতি করছে। তাই এখন মোটরসাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে উদ্যোক্তাদের মোটরসাইকেল তৈরির দিকে এগোতে হবে। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল তৈরি শিল্পের বিকাশে তার মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করবে। বাংলাদেশে তৈরি বাইসাইকেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের হালকা মেশিনারিজও রপ্তানিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এবার ভারী শিল্পের দিকে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা। এরই মধ্যে পিএইচপি গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রামে মালয়েশিয়াভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটন সাগা (পেরুসাহান অটোমোবাইল ন্যাশনাল এসডিএন বিএইচডি) প্রাইভেটকার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। মালয়েশিয়ার এ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রনায়ক মাহাথির মোহাম্মদ। তার উৎসাহে বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে প্রোটন সাগা। অন্যদিকে ওয়ালটন, রানারসহ কয়েকটি দেশি কোম্পানি মোটরসাইকেল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অনেক আগেই। তবে বর্তমানে দেশে যেসব মোটরসাইকেল তৈরি হয় এর সবই বিদেশ থেকে পার্টস ও ইঞ্জিন এনে দেশে সংযোজন করে বাজারজাত করা হয়।

সরকার চায় মোটরসাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে উদ্যোক্তারা মোটরসাইকেল তৈরি শিল্পের দিকে নজর দিক। এ লক্ষ্যে ৭ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণীতে দেশে মোটরসাইকেল তৈরি ও বাজারজাতকরণ নীতিমালার বিষয়ে আলোচনার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। ৩০ আগস্ট কার্যবিবরণী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সরকারের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

 তুলনামূলক জ্বালানি সাশ্রয়ী ও গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নতির ফলে দিন দিন মোটরসাইকেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে মোটরসাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে মোটরসাইকেল তৈরি শিল্প সহায়তা একটি নীতিমালা দরকার। তবে দেশে মোটরসাইকেল তৈরি শিল্পের বিকাশ ঘটাতে চাইলে করসংক্রান্ত কিছু বিষয়ের পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। বৈঠকে তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ২০১৩ সালে জারিকৃত পরিপত্রে মোটরসাইকেল তৈরি কারখানার পেইন্ট শপ রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল, তবে ২০১৬ সালে জারিকৃত পরিপত্রে এটি বাধ্যতামূলক নয়। এ শিল্পের ম্যানুফ্যাকচারিং পর্যায়েও মূল্য সংযোজন কর যুক্ত করা হয়েছে যা আগের পরিপত্রে ছিল না।

সর্বশেষ খবর