শীতের আগমনে প্রকৃতিতে লেগেছে তার নান্দনিক ছোঁয়া, পড়েছে সাজ সাজ রব। এরই অংশ হিসেবে বৃহত্তম ভোলার চরফ্যাশনে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ঢালচর, কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তারুয়া বিচে অতিথি পাখির হাট বসেছে। বিচিত্র পাখ-পাখালির মধুময় কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে এ জনপদ। তারুয়ার ৭ কিলোমিটার বিচে বছর জুড়ে হরেক রকম পাখির কল কাকলীতে সরব থাকলেও, শীতে নতুন প্রাণ পায় পাখিরা। এদের সঙ্গে যোগ হয় সাইব্রেরিয়াসহ পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা পাখির দল। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ঢালচর থেকে পূর্ব দিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের ভিতর এই তারুয়া বিচ। চরফ্যাশন থেকে চর কচ্ছপিয়া হয়ে নৌকায় সহজেই যাওয়া যায় তারুয়ার দ্বীপে। জনমানবহীন গহিন অরণ্যাবৃত এ বিচ এখন পাখিদের সবুজ অভয়ারণ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, তারুয়া পর্যটন এলাকায় সরকারিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটবে। দ্বীপ কুকরী মুকরির ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল হাসেম মহাজন জানান, কুকরীকে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র করার ঘোষণা আগামী জানুয়ারিতেই আসতে পারে। এ লক্ষ্যে পর্যটকদের থাকার জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক মোটেল জানুয়ারির ২য় সপ্তাহে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উদ্বোধন করবেন।