সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই পাশের সার্ভিস রোড বাদ দেওয়া অযৌক্তিক

—স্থপতি মো. ফয়েজউল্লাহ

দুই পাশের সার্ভিস রোড বাদ দেওয়া অযৌক্তিক

স্থপতি মো. ফয়েজউল্লাহ বলেছেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে থাকা সার্ভিস রোডের সুবিধা পাচ্ছে যাতায়াতকারী মানুষ। তাহলে এই ৩০০ ফুট রাস্তায় উভয় পাশে সার্ভিস রোড বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা আমার বোধগম্য নয়।’ সোমবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কুড়িল-পূর্বাচল ১০০ ফুট খাল প্রকল্পের নকশায় নতুন সংযোজন বিষয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘শহরে থাকার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ড্যাপের সঙ্গে মেলানোতে ঝুলে যাবে এ পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনায় যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তা যথার্থ কি না সেটিও ভেবে দেখতে হবে। শহর মানে শুধু কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট রাস্তা নয়। তাই জনগণের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করলে বেশি উপকারিতা আসবে সেটিও ভেবে দেখতে হবে।’ পরিকল্পনার বিষয়ে এ স্থপতি বলেন, ‘পরিকল্পনায় দুই পাশের বসবাসকারী মানুষকে সংযুক্ত করাকে জোর দিতে হবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। কারণ খালপাড়ে গড়ে ওঠা এই বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত এ সড়ক ব্যবহার করবেন। একসঙ্গে সব প্রকল্প না জুড়ে দিয়ে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। সিঙ্গাপুরসহ উন্নত দেশগুলোতে প্রকল্পগুলো দীর্ঘায়িত না করে খুব অল্প সময়ে ছোট অংশে কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো। খাল শেষ করে এ প্রকল্পের অন্য কাজে পরে হাত দিতে হতো। ধাপে ধাপে কাজ না করে প্রকল্প বড় করে নিলে উন্নয়ন থমকে থাকে, বাড়ে জনভোগান্তি।’ ড্যাপের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, ড্যাপের মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। এটি এখন নবায়ন পর্যায়ে ছিল। ড্যাপ বিস্তৃত একটা বিষয়। আর ৩০০ ফুট রাস্তা ছোট একটা বিষয়। এ প্রকল্প শেষ করে আশপাশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন। পরিকল্পনাকে ড্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ায় দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কায় আমি আতঙ্কিত।’

সর্বশেষ খবর